ঢাকা শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৯:৩০:১১ এএম

ডলার ও রিজার্ভ নিয়ে দুশ্চিন্তা কেটে গেছে: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর

২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৭:০ পিএম

ডলার ও রিজার্ভ নিয়ে দুশ্চিন্তা কেটে গেছে: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর

ছবি: সংগ্রহ

ডলার ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে দুশ্চিন্তা কেটে গেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, রিজার্ভের পতন কিছুটা হলেও থামানো গেছে।


আইএমএফের কাছ থেকে এক টাকাও আসেনি। কিন্তু রেমিট্যান্স ২৪ শতাংশ বেড়েছে, এ মাসে ৩০ শতাংশ ছাড়াবে। জুন শেষে রেমিট্যান্স ৩০ বিলিয়ন ছাড়াবে।

 

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ‘সেমিনার অন বাংলাদেশ ম্যাক্রোইকোনোমিক ল্যান্ডস্কেপ: চ্যালেঞ্জেস ইন দ্য ব্যাংকিং সেক্টর অ্যান্ড দ্য পাথ এহেড’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।



ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কোনো ডলার এখন বিক্রি হচ্ছে না। ব্যাংক ও কার্ব মার্কেটে ডলারের দরের ব্যবধান নেই বললেই চলে। ডলার অর্থপাচার ঠেকানো গেছে।


রেমিট্যান্সের দর ম্যানিপুলেশন হচ্ছে না দাবি করে গভর্নর বলেন, দুবাইয়ে একটা গ্রুপ ডলার ম্যানিপুলেশন করতে চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আমরা এতে প্রভাবিত হইনি।

 

এলডিসি গ্রাজুয়েশনের বয়ান পরিবর্তনের কথা বলেন গভর্নর। তিনি বলেন, আমাদের সমগোষ্ঠী কোনো দেশ এখন আর এলডিসিতে নাই। বাংলাদেশ ২০২১ সালেই এলডিসি যাওয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে। কিন্তু আমাদের দেশের শিল্প খাতের চাপে এলডিসি উত্তরণের সময় বাড়িয়ে ২০২৬ সালে নিয়ে আসি। গ্রাজুয়েশনের অনেক ভালো দিক আছে। দরিদ্র হয়ে থাকার মধ্যে কোনো সম্মান নেই। আমরা কেন মধ্য আয়ের দেশ হতে পারব না! আমরা তো মধ্যম আয়ের দেশ হয়ে আছি। কেন আমরা ট্যারিফের সুবিধার জন্য নিম্নআয়ের দেশ হয়ে থাকব।

 

সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিনিয়োগ বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনতে হবে। বিনিয়োগ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ দুটি খাত হলো, ব্যাংক ও রাজস্ব খাত। তবে এনবিআরের কার্যকর সংস্কার না হলে ব্যাংক খাত এগোবে না।

 

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইআরএফ সভাপতি দৌলত আকতার মালা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন ইআরএফ এর সহ-সাধারণ সম্পাদক মানিক মুনতাসির।

ডলার ও রিজার্ভ নিয়ে দুশ্চিন্তা কেটে গেছে: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর