ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১০:১০ এএম
অনলাইন সংস্করণ
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে হাজার হাজার কোটি টাকার অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১০:১০ এএম
![তথ্যপ্রযুক্তি খাতে হাজার হাজার কোটি টাকার অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/12/25/20241225095343_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহ
পলায়নকারী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য উঠে এসেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গঠিত একটি তদন্ত কমিটির অনুসন্ধানে এই তথ্য প্রকাশ পায়।
তদন্তে দেখা গেছে, ২০০৯ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ এবং এর অধীনস্থ সংস্থাগুলোর আওতায় বাস্তবায়িত ২১টি প্রকল্পে ৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি সাশ্রয়ের সুযোগ রয়েছে। কমিটি এসব প্রকল্পে অপ্রয়োজনীয় ব্যয়, অসম চুক্তি, জনবল নিয়োগে অনিয়ম, এবং কাজের পুনরাবৃত্তি (ডুপ্লিকেশন-ট্রিপ্লিকেশন) চিহ্নিত করেছে।
তদন্তে যে প্রকল্পগুলোতে অনিয়ম ধরা পড়েছে সেগুলো হলো মোবাইল গেইম ও অ্যাপ্লিকেশন দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প। এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রোগ্রাম। আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন প্রকল্প। ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবন ইকোসিস্টেম উন্নয়ন প্রকল্প বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের প্রকল্পসমূহ
তদন্তে দেখা গেছে, প্রকল্পগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম অনেক সময় প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এক প্রকল্পে একই কাজ বারবার করা হয়েছে। প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত ভূমি অধিগ্রহণ ও অবকাঠামো নির্মাণের ফলে ব্যাপক অর্থের অপচয় হয়েছে। প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও ল্যাব স্থাপনে দক্ষ জনবল এবং রক্ষণাবেক্ষণের কোনো পরিকল্পনা ছিল না। কিছু প্রকল্পে তৈরি অ্যাপ ও প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার হচ্ছেনা।
তদন্ত কমিটি নিম্নলিখিত সুপারিশ করেছে প্রকল্পের অপ্রয়োজনীয় অংশ বাদ দেওয়া। প্রকল্পের সৃষ্ট সুবিধা স্থায়ী করতে ব্যবস্থা গ্রহণ। আইসিটি অধিদপ্তর, হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এবং অন্যান্য সংস্থার দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট করা। বৈদেশিক সহায়তা চুক্তি সম্পাদন ব্যতীত কাজ বন্ধ রাখা। অডিট আপত্তি দ্রুত নিষ্পত্তি।
তথ্যপ্রযুক্তি সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন অনুসারে সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, "অনিয়ম বন্ধ করে এখনো প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় সম্ভব।"
২০০৯ সালে শুরু হওয়া ডিজিটাল বাংলাদেশের উদ্যোগে বিপুল অর্থ ব্যয় হলেও সেবা ও কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। ই-গভর্নমেন্ট ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্সে বাংলাদেশের অবস্থান এখনও ১০০তম, যা প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় পিছিয়ে।
বেসিসের সাবেক সহসভাপতি ফারহানা এ রহমান বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের ব্যয় কার্যকর ছিল না। আইসিটি খাতে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রাও পূরণ হয়নি।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ উপদেষ্টা জানান, “তথ্যপ্রযুক্তি খাত আওয়ামী লীগের আমলে লুটপাটের খাত হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এখন অপচয় রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
ডিজিটাল বাংলাদেশের নামে অপচয় ও দুর্নীতির ফলে দেশের আর্থিক পরিস্থিতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে বর্তমান সরকার এই খাতে স্বচ্ছতা ও দক্ষতা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছে।
- ট্যাগ সমূহঃ
- তথ্যপ্রযুক্তি
- অনিয়ম
- দুর্নীতির
![তথ্যপ্রযুক্তি খাতে হাজার হাজার কোটি টাকার অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)