ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯:৫২ এএম
অনলাইন সংস্করণ
দরিদ্র দেশগুলোকে ২০৩৫ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর ৩০০ বিলিয়ন ডলার সাহায্য দেবে উন্নত দেশগুলো
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯:৫২ এএম
![দরিদ্র দেশগুলোকে ২০৩৫ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর ৩০০ বিলিয়ন ডলার সাহায্য দেবে উন্নত দেশগুলো](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/11/24/20241124094902_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহীত
উন্নত দেশগুলো দরিদ্র দেশগুলোকে ২০৩৫ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর অন্তত ৩০০ বিলিয়ন ডলার দেবে। জলবায়ু তহবিলে এই অর্থ দরিদ্র দেশগুলোর পরিবেশবান্ধব অর্থনীতি গড়ে তোলা এবং জলবায়ু সংকটের কারণে সৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যবহৃত হবে। বর্তমানে উন্নত দেশগুলো প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার জমা দিচ্ছে।
দীর্ঘ ৩৩ ঘণ্টার আলোচনার পর, আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলনে প্রায় ২০০টি দেশ দরিদ্র দেশগুলোর জন্য বছরে ৩০০ বিলিয়ন ডলার সাহায্যের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। জাতিসংঘের জলবায়ু সংস্থার প্রধান সাইমন স্টিল বলেন, "এটি কঠিন একটি যাত্রা ছিল, কিন্তু আমরা সফল হয়েছি।"
যদিও এ বছরের চুক্তিটি অর্থ সহায়তায় একটি মাইলফলক, তবে দেশগুলো জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসার মতো বড় কোনো উদ্যোগ নেয়নি। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর প্রতিনিধি দল আলোচনার সময় স্থান ত্যাগ করেছিল। দ্বীপ রাষ্ট্রগুলোর জোটের চেয়ারম্যান সেড্রিক শুস্টার বলেন, "আমাদের দ্বীপগুলো ডুবে যাচ্ছে, দুর্বল চুক্তি নিয়ে আমরা কীভাবে ফিরে যাব?"
পরিবর্তিত চুক্তিটি রোববার রাতে করতালির মধ্য দিয়ে গৃহীত হয়। তবে ভারত এর ওপর হতাশা প্রকাশ করে। ভারতের প্রতিনিধি লীলা নন্দন বলেন, "এই চুক্তি আমাদের জন্য কার্যকর নয়। প্রস্তাবিত অর্থ আমাদের দেশের প্রয়োজন পূরণে যথেষ্ট নয়।"
সুইজারল্যান্ড, মালদ্বীপ, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলো জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানো নিয়ে চুক্তির ভাষার দুর্বলতা নিয়ে সমালোচনা করেছে। এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ২০২৫ সালের পরবর্তী জলবায়ু আলোচনায় গৃহীত হবে।
চুক্তি অনুযায়ী, দরিদ্র দেশগুলোকে বছরে ৩০০ বিলিয়ন ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এই অর্থ সরকারি অনুদান এবং বেসরকারি খাত থেকে আসবে। তহবিলটি দূষক দেশগুলোকে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে নবায়নযোগ্য শক্তির দিকে যেতে সাহায্য করবে।
দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের প্রস্তুতি তহবিল তিনগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ঐতিহাসিকভাবে এই তহবিলের মাত্র ৪০ শতাংশ জলবায়ু প্রস্তুতির জন্য ব্যয় হয়েছে। এ ছাড়া দেশগুলো সম্মত হয়েছে যে, জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধে ২০৩৫ সালের মধ্যে ১.৩ ট্রিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে।
এই চুক্তি স্বীকার করে যে, দরিদ্র দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনে কম ভূমিকা রাখলেও এর প্রভাবের শিকার হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। তবে অর্থায়নের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করতে এবং জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় আরও উদ্যোগ গ্রহণ প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
![দরিদ্র দেশগুলোকে ২০৩৫ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর ৩০০ বিলিয়ন ডলার সাহায্য দেবে উন্নত দেশগুলো](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)