ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৩:৪৪:১২ পিএম

দাম বেড়ে যাওয়ায় ভারতীয় চিনির চাহিদা কমেছে

২৭ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১:৫৬ পিএম

দাম বেড়ে যাওয়ায় ভারতীয় চিনির চাহিদা কমেছে

ছবি: সংগ্রহ

ভারত ২০২৪-২৫ মৌসুমে ১০ লাখ টন চিনি রফতানির অনুমতি দিয়েছে। তবে দেশটির ব্যবসায়ীরা বলছেন, রফতানি অনুমোদনের পর লন্ডনের বাজারে যে দামে চিনি বেচাকেনা হয় তাতে অতিরিক্ত মূল্য সংযোজন করে পণ্যটি বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। ‍অতিরিক্ত দামের কারণে অন্যান্য দেশের আমদানিকারকদের কাছে পণ্যটির চাহিদা কমেছে। এ কারণে দেশটি থেকে চিনি রফতানি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে না। চারটি বাণিজ্যসংশ্লিষ্ট সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছে।


ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম চিনি উৎপাদনকারী দেশ। রফতানি অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেয়ার পর চলতি সপ্তাহে চিনির দাম গত তিন বছরের সর্বনিম্নে নেমে গিয়েছিল। খাতসংশ্লিষ্টদের মতে, দেশটি থেকে রফতানির ধীরগতি বিশ্বব্যাপী পণ্যটির দাম বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।


একটি গ্লোবাল ট্রেড হাউজের মুম্বাইভিত্তিক এক ডিলার জানান, ‘রফতানির অনুমতি পাওয়ার পর অভ্যন্তরীণভাবে চিনির দাম প্রায় ১০ শতাংশ বেড়ে গেছে। এখন মিলগুলো তাদের বরাদ্দ করা কোটা রফতানি করতে বৈশ্বিক দামে অতিরিক্ত মূল্য সংযোজন করতে চাইছে।’

 
একটি বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের চার ডিলারের দেয়া তথ্যানুযায়ী, গত সপ্তাহে ভারতের ব্যবসায়ীরা ফেব্রুয়ারিতে সরবরাহের জন্য ২০ হাজার টন সাদা ও পরিশোধিত চিনি রফতানির চুক্তি করেছে। এ সময় তারা প্রতি টন চিনি বেচাকেনা করেছে ৪৯০-৫১০ ডলারে, যা লন্ডনের ফিউচার মার্কেটের তুলনায় ১০-২৫ ডলার বেশি।

 
ভারতের খাদ্য মন্ত্রণালয় মিলগুলোকে তাদের তিন বছরের গড় উৎপাদনের ৩ দশমিক ১৭৪ শতাংশ হারের সমান রফতানি কোটা বরাদ্দ করেছে। চিনি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সরাসরি অথবা মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে রফতানি করতে পারে।

 

দিল্লিভিত্তিক ট্রেড হাউজের এক ডিলার বলেন, ‘মিলগুলোকে তাদের বরাদ্দ করা কোটা ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরের আগে রফতানি করতে হবে। তাই তারা চিনি রফতানিতে ধীরগতি বজায় রেখেছে। বিশ্বব্যাপী দাম বাড়ার জন্য অপেক্ষা করছেন তারা।’

 

ভারত সাধারণত ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ অন্যান্য দেশে চিনি রফতানি করে। ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত দেশটি পাঁচ বছর বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ব্যবহারকারী দেশ হিসেবে নিজের হিস্যা বজায় রেখেছে। এ সময় দেশটির গড় রফতানির পরিমাণ ছিল ৬৮ লাখ টন।

 

এদিকে ইন্টারকন্টিনেন্টাল এক্সচেঞ্জে (আইসিই) ভবিষ্যৎ সরবরাহ চুক্তিতে চিনির দাম বেড়েছে। সাপ্তাহিক লেনদেনের শেষ দিনে অপরিশোধিত চিনির দাম দশমিক ৩৩ সেন্ট বা ১ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে। প্রতি পাউন্ডের মূল্য স্থির হয়েছে ১৯ দশমিক শূন্য ২ সেন্টে। এদিন সাদা চিনির দাম ২ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে টনপ্রতি মূল্য পৌঁছেছে ৪৯৮ ডলার ২০ সেন্টে।

দাম বেড়ে যাওয়ায় ভারতীয় চিনির চাহিদা কমেছে