ঢাকা শুক্রবার, ৪ জুলাই, ২০২৫ - ৭:৪১:২৬ পিএম

দারিদ্র্যের কারণে ভারতে গিয়ে কিডনি বিক্রি করছে মিয়ানমারের মানুষ

২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৭:০ পিএম

দারিদ্র্যের কারণে ভারতে গিয়ে কিডনি বিক্রি করছে মিয়ানমারের মানুষ

ছবি: সংগ্রহ

দারিদ্র্যের ফাঁদে পড়ে নিজেদের কিডনি বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন মিয়ানমারে অনেক মানুষ। সামরিক অভ্যুত্থানের পর দেশটির অর্থনীতি ভেঙে পড়ায়, জীবনযাত্রার ব্যয় মেটাতে এই পথ বেছে নিচ্ছেন অনেকে। সম্প্রতি মিয়ানমারের একাধিক নাগরিক অবৈধভাবে ভারতে গিয়ে কিডনি বিক্রি করেছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।

 

২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে অর্থনৈতিক সংকট তীব্র হয়েছে। কাজ হারিয়ে, ঋণের চাপে পড়ে বেঁচে থাকার লড়াই করছে দেশটির সাধারণ মানুষ।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, মানুষের দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে সক্রিয় হয়েছে একদল দালাল, যারা বিপদে পড়া মানুষকে বিদেশে নিয়ে গিয়ে কিডনি বিক্রি করতে উদ্বুদ্ধ করছে।

নিজের পরিবারের প্রয়োজন মেটাতে মিয়ানমারের বেশ কয়েকজন নাগরিক অবৈধভাবে ভারতে গিয়ে কিডনি বিক্রি করেছেন। দারিদ্র্য, ঋণের বোঝা, আর একটু ভালো থাকার স্বপ্ন- এটাই তাদের কিডনি বিক্রির কারণ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এক কিডনি বিক্রেতা জানান, স্থানীয়ভাবে অনেককেই কিডনি বিক্রি করতে দেখেছেন। তাই তিনিও এক দালালের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ওই দালাল ভুয়া নথি তৈরি করে তাকে ভারতে পাঠায়, যেখানে একজন বার্মিজ নারীর আত্মীয় পরিচয়ে তার কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়। একটি কিডনি বিক্রি করে বিশ থেকে ত্রিশ লাখ টাকা পাওয়া যায় বলে জানান তিনি।

ভারতে এমন কিডনি কেনাবেচার ঘটনা বাড়ছে। সাম্প্রতিক এক অভিযানে পুলিশ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে, যাদের মধ্যে একজন চিকিৎসকও রয়েছেন।


পুলিশের অভিযোগ, দলটি দরিদ্র বাংলাদেশিদের কিডনি বিক্রির ব্যবস্থা করছিল এবং প্রতিস্থাপনের অনুমোদন পাওয়ার জন্য জাল নথি ব্যবহার করেছিল। কিন্তু কিডনি বিক্রির পর অনেকের শরীরে দেখা দিয়েছে নানা জটিলতা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বৈধভাবে কিডনি প্রতিস্থাপনের হার বেড়েছে, কিন্তু চাহিদার তুলনায় তা অনেক কম। আর এই ঘাটতির সুযোগ নিচ্ছে দালালরা, দরিদ্র মানুষের অসহায়ত্বকে কাজে লাগিয়ে গড়ে তুলছে অন্ধকার এক বাজার।

দারিদ্র্যের কারণে ভারতে গিয়ে কিডনি বিক্রি করছে মিয়ানমারের মানুষ