ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
১১ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৮:৩০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
দারিদ্র্য দূরীকরণে অনুদান দেবে ডিপ চ্যালেঞ্জ ফান্ড
১১ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৮:৩০ পিএম
![দারিদ্র্য দূরীকরণে অনুদান দেবে ডিপ চ্যালেঞ্জ ফান্ড](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/12/11/20241211145211_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহ
দারিদ্র্য দূরীকরণ নিয়ে গবেষণায় আগ্রহী বাংলাদেশি গবেষকদের অনুদান দেবে ডাটা এবং অ্যাভিডেন্স টু অ্যান্ড এক্সট্রিম পোভার্টি (ডিপ)। তহবিল থেকে গবেষকদের স্বল্প ও মাঝারি আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে। মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক উদ্বোধনী কর্মশালায় ফান্ডের উদ্বোধন করা হয়।
ডিপ চ্যালেঞ্জ ফান্ড বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব কর্নওয়াল, সাউদাম্পটন, কোপেনহেগেন এবং অক্সফোর্ড পলিসি ম্যানেজমেন্টের নেতৃত্বে ও বিশ্বব্যাংকের ডাটা ডেভেলপমেন্ট গ্রুপের অংশীদারত্বে একটি কনসোর্টিয়াম বা সংঘ। যুক্তরাজ্য সরকারের ফরেন, কমনওয়েলথ ও ডেভেলপমেন্ট অফিসের অর্থায়নে কনসোর্টিয়ামটি পরিচালিত হচ্ছে। ডিপ বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য দূরীকরণে প্রমাণ, বিশ্লেষণ এবং সমাধান প্রদান করে থাকে।
কর্মশালায় জানানো হয়, ডিপ চ্যালেঞ্জ ফান্ড বাংলাদেশের উদ্দেশ্য বাংলাদেশি গবেষকদের দারিদ্র্য দূরীকরণের বিষয়ে গবেষণায় উৎসাহিত করা, যা দারিদ্র্য দূরীকরণ বিষয়ে তথ্য এবং উপাত্তের ঘাটতি দূর করবে। এছাড়া সব তথ্য ও উপাত্ত ব্যবহার করে দেশে নীতিনির্ধারকদের দারিদ্র্য দূরীকরণ বিষয়ক জাতীয় নীতি, কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তা করা, যাতে একটি সমন্বিত ও কার্যকর উন্নয়নের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূর করে মানুষের জীবনমান উন্নত করা যায়।
ডিপ চ্যালেঞ্জ ফান্ড বাংলাদেশ দেশের প্রথিতযশা অর্থনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে। ডিপ চ্যালেঞ্জ ফান্ড বাংলাদেশের স্টিয়ারিং কমিটির প্রধান হিসেবে আছেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষণা পরিচালক ড. জুলফিকার আলী। এছাড়া সদস্য হিসেবে আছেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক ড. ইমরান মতিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর ও সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান, রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক, সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মুনিরা বেগম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের প্রফেসর ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, এফসিডিওর অ্যাডভাইজার নেইল গান্ধি এবং ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সিনিয়র ইকোনমিস্ট পালানিস্বামী।
কর্মশালায় ড. জুলফিকার আলী বলেন, আমরা জানি বাংলাদেশ একটি পরিবর্তিত পরিস্থিতি দিয়ে যাচ্ছে। এই মুহূর্তে আমরা অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে বিভিন্ন ধরনের সংস্কার ও নীতিগত পরিবর্তনের কথা আলোচনা করছি। এই মুহূর্তে এমন গবেষণা প্রজেক্ট খুবই সময়োপযোগী। এ গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্য আমাদের ভবিষ্যৎ নীতি নির্ধারণে কাজে লাগবে।
ডিপ চ্যালেঞ্জ ফান্ডের প্রজেক্ট ম্যানেজার জেমি উইলিয়ামস বলেন, তথ্য ও উপাত্তের স্বল্পতা দূর করে দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য যাতে একটি কার্যকর জাতীয় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা যায়, সে ব্যাপারে নীতিনির্ধারকদের সহায়তা করতে চাই। ডিপ চ্যালেঞ্জ ফান্ডের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশি গবেষকদের সেসব বিষয়ে গবেষণায় উৎসাহিত করতে চাই, যা এর আগে গবেষণায় উঠে আসেনি।
কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক ড. ইমরান মতিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর ও সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান, প্রিন্সিপাল ইকোনমিস্ট ওমার সালাম, কনসালট্যান্ট আদিবা খালেদ।
ডিপ চ্যালেঞ্জ ফান্ডের জন্য চাইলে গবেষণা প্রতিষ্ঠান বা একজন গবেষক বা সম্মিলিতভাবে কয়েকজন গবেষক আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের যোগ্যতার ভিত্তিতে ফান্ড দেওয়া হবে। ডিপ চ্যালেঞ্জ ফান্ড বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, মিয়ানমার, তানজানিয়া, ইউথেপিয়া, মাদাগাস্কার, মোজাম্বিক এবং নাইজেরিয়ায় দারিদ্র্য দূরীকরণে স্থানীয় গবেষকদের সহায়তা দেবে। ডিপ চ্যালেঞ্জ ফান্ডে আবেদন করতে ভিজিট করতে হবে https://povertyevidence.org/ লিংকে।
![দারিদ্র্য দূরীকরণে অনুদান দেবে ডিপ চ্যালেঞ্জ ফান্ড](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)