ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
১ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৯:৬ এএম
অনলাইন সংস্করণ
এ সম্পর্কিত আরো খবর
দুর্বল ব্যাংকগুলো ঋণ শোধে ব্যর্থ, সময় বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক
১ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৯:৬ এএম
ছবি: সংগ্রহীত
দুর্বল পাঁচটি ব্যাংক গ্যারান্টির আওতায় পাওয়া ঋণের প্রথম ধাপের অর্থ শোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এ কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের ঋণ শোধের সময়সীমা আরও তিন মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন
গত ২২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজার থেকে তহবিল পেতে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে গ্যারান্টি দেয়। এই ব্যাংকগুলো হলো ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক এবং ন্যাশনাল ব্যাংক। প্রথম ধাপে এসব ব্যাংক সবল ব্যাংক থেকে ৯০০ কোটি টাকার গ্যারান্টি পায়। শর্ত ছিল তিন মাসে এই ঋণ শোধ করতে হবে।
তিন মাস পেরিয়ে গেলেও ব্যাংকগুলো ঋণ শোধ করতে পারেনি। ফলে বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের সময়সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে। ইতোমধ্যে এ প্রস্তাবনা গভর্নরের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কয়েকটি ব্যবসায়ী গোষ্ঠী ডজনখানেক ব্যাংক থেকে বড় অঙ্কের ঋণ তুলে নেয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার অবৈধ সুবিধা দিয়ে ব্যাংকগুলো টিকিয়ে রাখেন। তবে নতুন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর দায়িত্ব নেওয়ার পর এসব সুবিধা বন্ধ করেন, যা ব্যাংকগুলোর প্রকৃত দুর্বলতা প্রকাশ করে।
এখন পর্যন্ত সাতটি ব্যাংক ৭,৩৫০ কোটি টাকার তারল্য সহায়তা পেয়েছে। এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ ২,৩৯৫ কোটি টাকা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ১,১৭৫ কোটি টাকা এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ১,০০০ কোটি টাকা পেয়েছে। তবে এই তহবিলও ব্যাংকগুলোর সংকট কাটাতে পারেনি।
ব্যাংকগুলোর পরিস্থিতি সামাল দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ২২,৫০০ কোটি টাকা ছাপিয়ে সহায়তা করেছে। যদিও আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় ব্যাংক টাকা ছাপিয়ে কোনো ব্যাংককে সহায়তা না করার কথা বলেছিল।
দুর্বল ব্যাংকগুলোর ক্রমাগত সংকট দেশের ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন পদক্ষেপ সংকট সাময়িকভাবে কমাতে পারে, তবে দীর্ঘমেয়াদী সমাধানে কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন।