ঢাকা রবিবার, ৬ জুলাই, ২০২৫ - ১:০৫:৫৫ এএম

দেশের মানুষের আয়ের চেয়ে ব্যয় বাড়লো দ্বিগুণ

১৩ আগস্ট, ২০২৪ | ৯:২৪ এএম

দেশের মানুষের আয়ের চেয়ে ব্যয় বাড়লো দ্বিগুণ

ছবি: সংগ্রহ

জুলাই মাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে হয়েছে ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ। অর্থাৎ খাদ্য কিনতে ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ ব্যয় বাড়লেও দেশবাসীর আয় বেড়েছে মাত্র ৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ। ফলে দেশবাসীর আয়ের চেয়ে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ালো দ্বিগুণ।

 

সোমবার (১২ আগস্ট) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতি নিয়ে চলতি বছরের জুলাই মাসের ভোক্তা মূল্যসূচকের হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে।


বিবিএসের প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, চাল, ডাল, তেল, লবণ, মাছ, মাংস, সবজি, মসলা ও তামাকজাতীয় পণ্যের দাম বাড়ায় খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে। আগের মাসে খাদ্যখাতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১০ দশমিক ৪২ শতাংশ।

 

বিবিএসের প্রকাশিত তথ্যে বলা হচ্ছে, দেশের গড় মূল্যস্ফীতি ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। আর খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৪ দশমিক ১ শতাংশ, খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশের মধ্যে রয়েছে।

 

এর আগে ২০০৭-০৮ অর্থবছরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসনামলে ২০০৫-০৬-কে ভিত্তিবছর ধরে দেশের গড় মূল্যস্ফীতি ঠেকেছিল ১২ দশমিক ৩ শতাংশ, আর খাদ্য মূল্যস্ফীতি ঠেকেছিল ১৬ দশমিক ৭২ শতাংশে। ওই বছরের পর এ প্রথম বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি এত উচ্চ পর্যায়ে ঠেকেছে।

 

অভিযোগ রয়েছে, পদত্যাগ করা গভর্নর সিন্ডিকেটের হয়েই কাজ করতেন। ফলে দেশের খেলাপি ঋণ বেড়ে গিয়েছিল। ব্যাংক থেকে বেশিরভাগ নগদ অর্থ ব্যবসায়ীদের পকেটে চলে যাওয়ার পরই সুদহার বাড়িয়েছিলেন তিনি।

 

বিবিএসের তথ্য বলছে, জুলাই মাসে শহরের তুলনায় গ্রামের মানুষের কষ্ট হয়েছে সবচেয়ে বেশি। এ মাসে গ্রামের মূল্যস্ফীতি ছিল ১১ দশমিক ৮৯ শতাংশ, যেখানে শহর এলাকায় গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ২৭ শতাংশে। তবে গ্রাম এলাকায় গড় মূল্যস্ফীতি বেশি থাকলেও খাদ্য মূল্যস্ফীতি শহর এলাকায় ছিল সবচেয়ে বেশি। গ্রাম এলাকায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১৪ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ, যেখানে শহর এলাকায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১৪ দশমিক ২২ শতাংশ।

 

এছাড়া বাড়িভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন ও শিক্ষা উপকরণের দামও বেড়েছে। জুলাই মাসে এ খাতে মূল্যস্ফীতিরে হার হয়েছে ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ। জুন মাসে ছিল ৯ দশমিক ১৫ শতাংশ।

দেশের মানুষের আয়ের চেয়ে ব্যয় বাড়লো দ্বিগুণ