ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৫:১৪:৫৭ পিএম

দেশের ১ হাজার ১৫৬ নদ-নদীর খসড়া তালিকা প্রকাশ

১১ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১:০ এএম

দেশের ১ হাজার ১৫৬ নদ-নদীর খসড়া তালিকা প্রকাশ

ছবি: সংগ্রহ

দেশে নদ-নদীর খসড়া তালিকা করা হয়েছে। সরকারের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় এ খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে। গতকাল রাজধানীর গ্রিন রোডে পানি ভবনে ‘বাংলাদেশের নদ-নদীর সংখ্যা নির্ধারণ’ বিষয়ক অবহিতকরণ সেমিনারে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।


মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, খসড়া হিসেবে নদ-নদীর সংখ্যা ১ হাজার ১৫৬। বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে পাওয়া সংখ্যা যাচাইয়ের পর এ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আরো যাচাই-বাছাইয়ের পর নদ-নদীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।


এ সময় পানিসম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘সমন্বিতভাবে উদ্যোগটা নিয়েছি। আগে এক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অন্য মন্ত্রণালয়ের যোগসূত্র থাকত না। এবার দুইটা মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে এ খসড়া তৈরি করা হয়েছে। আগামী পয়লা বৈশাখ আমরা সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করব। যদি ভূমি মন্ত্রণালয়কে যুক্ত করতে হয় আমরা তা করব এবং নদীর তালিকাটা সঠিকভাবে করার চেষ্টা করব।’

 

মৃত নদী বলে কোনো কিছু নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রবাহহীন নদী মানে মৃত না। মৃত নদী টার্মটা ব্যবহার হয় নদী দখলের জন্য। যদি এটা দেখানো যায় যে নদী মৃত হয়ে গেছে তাইলে এ নদী লিজ দেয়া যায়। এরপর হয় দখল।’

 

ঢাকা শহরের দূষণ থেকে নদীকে রক্ষা করা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ঢাকার তিনটি নদী নিয়ে কাজ শুরু করব। এ তিন নদী হলো বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা ও তুরাগ। এ তিন নদীকে দূষণমুক্ত করতে হবে। আমরা এরই মধ্যে হাওরের তালিকাটা চূড়ান্ত করে ফেলেছি।’

 

নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমাদের এলাকায় আগে অনেক নদী ছিল, যেগুলোয় নিয়মিত পানি প্রবাহিত হতো। কিন্তু এসব নদী অনেকাংশে দখল ও দূষিত হয়ে গেছে। ফলে বরিশালের মতো শহরেও এখন জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। আগের অনেক খাল বর্তমানে নেই। হারিয়ে যাওয়া জলাধারগুলো পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করছি।’

 

নদী উদ্ধার ও দখলমুক্ত করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নদী উদ্ধার করার সময় এখনই। আমরা এর শুরু করতে চাই। উদ্ধার করতে হলে কষ্ট হলেও আমরা সব ধরনের কষ্ট করব। আগের বুড়িগঙ্গা আর বর্তমানের বুড়িগঙ্গার মধ্যে এখন অনেক পার্থক্য। সাকার মাছ ছাড়া অন্য কোনো মাছ এ নদীতে নেই। নদী উদ্ধারে সবসময় সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাব। নদী থেকে বালি উত্তোলনের ফলে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়। দুজনকে অনুমতি দেয়া হলে ২০ জন গিয়ে নদীতে বালি উত্তোলন করে। ফলে দেখা যায় নদীর এক পাশে নাব্যতা কমে এসে শুকিয়ে যায়, অন্য পাশে নদী গভীর হয়ে যায়। আমরা নদীতে নাব্যতা ফেরানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

দেশের ১ হাজার ১৫৬ নদ-নদীর খসড়া তালিকা প্রকাশ