ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৯:১০:৪৫ পিএম

দেড় মাস পর আবার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল

২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৪:২২ পিএম

দেড় মাস পর আবার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল

ছবি: সংগ্রহ

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দেড় মাস পর আবারও ২০ বিলিয়ন ডলারের সীমা অতিক্রম করেছে। গতকাল রোববার (২২ ডিসেম্বর) রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির ফলে রিজার্ভের পরিমাদেশের  উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা।

 


এর আগে ৬ নভেম্বর রিজার্ভের পরিমাণ ২০ বিলিয়ন ডলার ছিল। তবে তা ধীরে ধীরে কমে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ১৯ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে যায়। ডলারপ্রতি ১২০ টাকার মূল্য নির্ধারণ ও বাজার চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখায় অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে রিজার্ভ ১৯ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে স্থিতিশীল ছিল।

 

৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ করে দেয়। এর ফলে রিজার্ভের স্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হলেও সাম্প্রতিক আমদানি বৃদ্ধির ফলে ডলারের চাহিদা আবারও বাড়তে শুরু করে।

 


সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি রিজার্ভকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করেছে। রেমিট্যান্স বৃদ্ধি চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত রেমিট্যান্স প্রবাহ ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। রপ্তানি একই সময়ে রপ্তানিতে ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এই দুই খাতে বৃদ্ধির ফলে বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ বাড়ায় ব্যাংকগুলোর উপর আমদানির চাপ কিছুটা কমেছে।

 


কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত আমদানি প্রবৃদ্ধি ১ শতাংশ হয়েছে, যা গত অর্থবছরের নেগেটিভ ১০ শতাংশের তুলনায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি। তবে আমদানি চাহিদার কারণে ডলারের মূল্য বেড়েছে। ব্যাংকগুলোকে রেমিট্যান্সের ডলার কিনতে সর্বোচ্চ ১২৭.৭০ টাকা খরচ করতে হয়েছে।

 

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি নতুন লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খোলার সীমাবদ্ধতা শিথিল করতে সহায়তা করেছে। এতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতি আরও বেড়েছে। রিজার্ভের এই প্রবৃদ্ধি দেশের অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

দেড় মাস পর আবার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল