ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ১০:৪৩:১৮ এএম

নগর পরিবহন চালু হচ্ছে আবার, ব্যবহার করা যাবে র‍্যাপিড পাস

৯ নভেম্বর, ২০২৪ | ১২:১১ পিএম

নগর পরিবহন চালু হচ্ছে আবার, ব্যবহার করা যাবে র‍্যাপিড পাস

ছবি: সংগ্রহীত

ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থাকে যাত্রীবান্ধব ও সুশৃঙ্খল করতে যেসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তার প্রায় সবই ব্যর্থ হয়েছে। ঢাকার গণপরিবহনে বাস ব্যবস্থাকে এখনো অনেকেই একটি আক্ষেপের বিষয় হিসেবে দেখেন। এর মধ্যে অন্যতম একটি ব্যর্থ উদ্যোগ ছিল ঢাকা নগর পরিবহনের বাস চালু করা, যা ২০২১ সালে ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত রুটে চালু করা হয়। পরিকল্পনা ছিল, তিন বছরের মধ্যে এই বাস সেবা ঢাকার সব রুটে চালু করা হবে। তবে সরকারের উদাসীনতা এবং বাস মালিক সমিতির অসহযোগিতার কারণে প্রকল্পটি মুখ থুবড়ে পড়ে।

 

 

গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. এম শামসুল হক বলেন, "এই উদ্যোগের জন্য রাজনৈতিক দৃঢ় প্রত্যয়ের প্রয়োজন ছিল, যা মেয়ররা নিতে পারতেন, কিন্তু তারা সেই পথে যাননি। তারা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৪ শতাংশ সুদে ৪ হাজার কোটি টাকার প্রজেক্ট অনুমোদন নিয়ে চলে যান, যদিও প্রজেক্টটি সফল হবে না, সেটা জেনেই তারা এগিয়েছিলেন।"

 

 

বাস রুট রেশনালাইজেশন প্রকল্পের পরিচালক ধ্রুব আলমের মতে, তৎকালীন মালিক সমিতি ও প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার সদিচ্ছার অভাবে প্রকল্পটি সফল হয়নি। তবে সরকার পরিবর্তনের পর ঢাকা সড়ক পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে এবং বাস রুট রেশনালাইজেশন প্রকল্পকে বাস্তবায়নে সচেষ্ট রয়েছে।

 

 

ধ্রুব আলম জানান, "আমরা ধাপে ধাপে কাজ করছি। বর্তমানে ৪২টি রুটের জন্য আবেদন উন্মুক্ত করে দিয়েছি এবং বাস মালিকরা এতে সাড়া দিয়েছেন। ৪০টিরও বেশি কোম্পানি থেকে প্রায় এক হাজারের বেশি বাসের আবেদন পেয়েছি। আশা করছি, আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চ নাগাদ পরিকল্পিত রুটগুলোতে বাস চালু করা সম্ভব হবে।"

 

 

ঢাকায় ৩৪টি এবং শহরতলিতে ৮টি মিলিয়ে মোট ৪২টি রুটে একক কোম্পানির বাস চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে যাত্রীদের নির্দিষ্ট জায়গা থেকে উঠা-নামা করতে হবে। প্রতিটি বাসে জিপিএস ট্র্যাকিং ব্যবস্থা থাকবে এবং ডিজিটাল টিকিটিং পদ্ধতি চালু করা হবে। এই পদ্ধতিতে যাত্রীরা পস মেশিনের মাধ্যমে টিকিট কাটবেন, কন্ডাক্টরকে টিকিট দেখিয়ে উঠবেন এবং গন্তব্যে পৌঁছে টিকিট দেখিয়ে নামবেন।

 

 

ড. শামসুল হক মনে করেন, বাস পরিচালনায় রাজনৈতিক সদিচ্ছার পাশাপাশি আলাদা একটি নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা প্রয়োজন। তত্ত্বাবধানের অভাবে একচেটিয়া সিন্ডিকেটের আশঙ্কা রয়েছে। তিনি জানান, জুন মাস থেকে মেট্রোরেলের র‍্যাপিড পাস দিয়েও এসব বাসে যাতায়াত করা যাবে এবং পর্যায়ক্রমে ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।

নগর পরিবহন চালু হচ্ছে আবার, ব্যবহার করা যাবে র‍্যাপিড পাস