ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ১০:০৫:২৯ এএম

নতুন বিনিয়োগের চিন্তা করছেন না উদ্যোক্তারা

৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৯:৫৭ এএম

নতুন বিনিয়োগের চিন্তা করছেন না উদ্যোক্তারা

ছবি: সংগ্রহ

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে স্বস্তি নেই। এর মধ্যেই বাড়ছে ব্যবসা পরিচালনার ব্যয়। মূল্যস্ফীতির চাপে ক্রয়ক্ষমতা কমছে সাধারণ মানুষের। এর প্রভাবে চাহিদা কমে সংকুচিত হয়ে আসছে জনসাধারণের ভোগ। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে গ্রহণ করা হয়েছে কঠোর মুদ্রানীতি।

 

তবে তাতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে না এলেও মূলধনপ্রবাহ কমে শ্লথ হয়ে পড়েছে বেসরকারি খাতের সম্প্রসারণ। দেশের বৃহৎ শিল্পোদ্যোক্তারা বলছেন, গত ছয় মাসে দেশের অর্থনীতি ও বিনিয়োগ পরিবেশে খুব একটা স্বস্তির জায়গা তৈরি হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে নতুন বিনিয়োগ থেকে নিজেদের বিরত রাখছেন উদ্যোক্তারা।


তাদের ভাষ্যমতে, উদ্যোক্তাদের যারই বড় ধরনের ব্যাংক ঋণ রয়েছে, সুদহার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার মধ্যে উদ্বেগও বাড়ছে। সরকার স্থানীয় ও বিদেশী বিনিয়োগকারীদের সমস্যাগুলো কার্যকরভাবে অনুধাবন করতে পারছে না। এ কারণে এখন নতুন বিনিয়োগের চিন্তা কেউ করছে না। যে দুয়েকজন উদ্যোক্তা সম্প্রসারণ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করেছিলেন, তারাও এখন ভয়ে আছেন। ফলে উৎপাদন ও বাণিজ্য প্রবৃদ্ধি সংকুচিত হয়েছে অন্তত ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত। ব্যবসার পরিস্থিতি কোনো কোনো ক্ষেত্রে আগের চেয়ে খারাপ। রাজনীতিতে এখনো ফলপ্রসূ কোনো কিছু অর্জন হয়নি। বিষয়গুলো নিয়ে নীতিনির্ধারকদের জোর পদক্ষেপ গ্রহণ এখন অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।


মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কথা বলে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি গ্রহণ করেছে সরকার। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরু থেকে ক্রমাগতভাবে ব্যাংক ঋণের সুদহার বাড়ছে। এরই মধ্যে নীতি সুদহার (রেপো রেট) ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি প্রণয়নের কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। শিগগিরই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণার কথা রয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে নতুন মুদ্রানীতিতেও সুদহার আরো বাড়ানোর ঘোষণা আসতে পারে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে আভাস দেয়া হয়েছে।

 

বাড়তি সুদহারের বিষয়টি উদ্যোক্তাদের দুশ্চিন্তায় ফেলে দিচ্ছে উল্লেখ করে স্কয়ার গ্রুপের পরিচালক তপন চৌধুরী বলেন, ‘সার্বিকভাবে পরিস্থিতি অনিশ্চিত ও স্বস্তি নেই। অর্থনীতিতেও তাই। নতুন বিনিয়োগের চিন্তা এখন কেউ করছে না। অনেকে সম্প্রসারণ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করে ভয়ের মধ্যে আছে। যাদের ব্যাংক ঋণ আছে তারা ঋণ পরিশোধ নিয়ে চিন্তিত। অনেক ব্যাংক আছে যেগুলোর অবস্থাও ভালো না। অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে যথেষ্ট অভিজ্ঞতাসম্পন্ন লোক রয়েছেন। তারা যখন দায়িত্ব নিয়েছেন তখন দেশের অর্থনীতির অবস্থা নাজুক অবস্থায় পেয়েছেন। এ পরিস্থিতিকে গুছিয়ে নিতে কিছুটা সময় লাগছে। সরকারের ওপর আস্থা আছে। কিন্তু কেন যেন তারা গুছিয়ে উঠতে পারছেন না।’

 

কয়েক বছর ধরেই দেশের বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি বেশ মন্থর। গত ছয় মাসে তা আরো মন্থর হয়ে এসেছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই থেকে নভেম্বর) দেশের বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বেড়েছে মাত্র ১ দশমিক ৪১ শতাংশ। যেখানে এর আগে গত অর্থবছরের একই সময়ে এ প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৪ সালের জুন শেষে বেসরকারি খাতে ব্যাংক ঋণের স্থিতি ছিল প্রায় ১৬ লাখ ৪১ হাজার ২২৯ কোটি টাকা। নভেম্বর শেষে ঋণের এ স্থিতি বেড়ে ১৬ লাখ ৬৪ হাজার ৩২৪ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। সে হিসাবে পাঁচ মাসে বেসরকারি খাতে ঋণ স্থিতি বেড়েছে মাত্র ২৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা। আর ঋণ প্রবৃদ্ধির হার প্রায় ১ দশমিক ৪১ শতাংশ। বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহ এর আগে এতটা মন্থর হয়ে আসতে দেখা যায়নি। নভেম্বরের পরও এ চিত্রে তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি। বরং এখন ঋণের যে প্রবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে এরও বড় অংশ এসেছে অনাদায়ী সুদ ও সুদহার বৃদ্ধির প্রভাবে।

 

ইস্ট-কোস্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজম জে চৌধুরী বলেন, ‘ব্যবসা-বাণিজ্য খারাপ। প্রায় ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত উৎপাদন ও বাণিজ্য প্রবৃদ্ধি কমেছে। ব্যবসার পরিস্থিতি কোনো কোনো ক্ষেত্রে আরো বেশি খারাপ। ব্যবসায় নতুন বিনিয়োগ নেই, পুরনো ব্যবসাই চলছে। যা চলছে, সেটাও আরো কমছে। আর নতুন ব্যবসা তো সম্ভবই না। কারণ মূল্যস্ফীতি অনেক বেশি। গ্যাসসহ সবকিছুই উচ্চমূল্যের। নিয়ম হলো যে উৎপাদনশীল খাতে সহযোগিতা করার জন্য সরকারের সবসময় একটা নীতি থাকে। এবার সবকিছু নেতিবাচক হওয়ার কারণে কেউ আর এ পথে এগোচ্ছে না। ফলে ব্যবসা বাড়ছে না। নতুন ব্যবসায়ও বিনিয়োগ হচ্ছে না। এটা দারিদ্র্য বিমোচনের পথে একটি সাংঘাতিক চ্যালেঞ্জ। আমরা মনে করি, এ সরকার তাড়াতাড়ি করে একটা নির্বাচন দিয়ে দেবে, যাতে করে আমরা নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে পারি।’

 

দেশে মূল্যস্ফীতির হার এখন গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যমতে, জানুয়ারিতে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। এর মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার দীর্ঘদিন ধরেই দুই অংকের ঘরে। জানুয়ারিতে দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১০ দশমিক ৭২ শতাংশ। আগের মাস অর্থাৎ ডিসেম্বরে এ হার ছিল ১২ দশমিক ৯২ শতাংশ।

 

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও আহসান খান চৌধুরী বলেন, ‘আমি অভ্যন্তরীণ ব্যবসা নিয়ে অত্যন্ত আশাবাদী। কিন্তু এর পূর্বশর্ত হলো প্রথমত ভালো আইন-কানুন, ভালো ব্যবস্থা। দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবশ্যই ভালো হতে হবে। দেশের ব্যাংকিং পরিস্থিতি অবশ্যই ভালো হতে হবে। যতটুকু সামর্থ্য আমাদের আছে, তা ব্যবসার পেছনে কাজে লাগাতে হবে। আমরা যদি আমাদের সমগ্র সঞ্চয়টা সরকারের ব্যয়ের পেছনে ব্যয় করে দিই, তাহলে কিন্তু ব্যবসায়ীদের ব্যয়ের জন্য কিছু থাকবে না। সেক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের জন্য প্রচুর সুদহারের বোঝা থাকবে। সুদহার বেশি থাকবে। ব্যবসায়ীরা কোনো ডলার পাবেন না। ডলার না পেলে কিন্তু দেশের উন্নতিও হবে না। ডলার শুধু অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় না করে উৎপাদনশীল খাতে ব্যয় করতে হবে। দেশের ভালো ভালো কারখানা করার জন্য কিন্তু ডলারের দরকার আছে, কাঁচামালের আমদানির জন্যও কিন্তু দেশের ডলারের প্রয়োজন আছে। যদি আমরা সুদহারটা ভালো পাই, আইন-কানুনটা ভালো পাই, যদি ত্বরিত সিদ্ধান্ত পাই, তাহলে সবার জন্য ভালো হবে। অনেক সময় রাজনৈতিক সরকার যখন থাকে, তখন অনেক দ্রুত সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়।’

 

নগদ টাকার (তারল্য) সংকট ও নীতি সুদহার বাড়ানোর প্রভাবে ২০২৩ সালের জুন থেকেই ব্যাংক ঋণের সুদহার বাড়ছে। ঋণের সুদহার সর্বোচ্চ ৯ থেকে বেড়ে এখন প্রায় ১৬ শতাংশে ঠেকেছে। যদিও সুদহার বৃদ্ধির কোনো সুফল জনগণ পায়নি। বরং বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি যখন সর্বনিম্ন, তখন মূল্যস্ফীতির হার আরো লাগামহীন হয়ে উঠতে দেখা যাচ্ছে। ২০২৪ সালের জুনে মূল্যস্ফীতির গড় হার ছিল ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ। জুলাইয়ে এ হার বেড়ে ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশে ঠেকে। আগস্টেও মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এরপর সেপ্টেম্বরে তা ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ দেখানো হলেও অক্টোবরে বেড়ে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশে উঠে যায়। আর নভেম্বর ও ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতির গড় হার ছিল যথাক্রমে ১১ দশমিক ৩৮ ও ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ। অর্থাৎ জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহের প্রবৃদ্ধি মাত্র ১ দশমিক ৪১ শতাংশে নেমে এলেও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে তা কোনো কাজেই আসেনি। জানুয়ারিতেও দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১০ শতাংশের কাছাকাছি। সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরেও বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ।

 

মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা কামাল বলেন, ‘অনেক চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। মূল্যস্ফীতি, আইন-শৃঙ্খলা—যেগুলো উন্নতির সঙ্গে সম্পৃক্ত, সেগুলোর কোনো উন্নতি হয়নি। আর বিনিয়োগ তো হচ্ছেই না। বিনিয়োগ নিয়ে হয়তো আগে থেকে কেউ পরিকল্পনা করেছে, কিন্তু দেশের বর্তমান যে পরিস্থিতি, এটার হার তো নেতিবাচকই বেশি। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবস্থা তো খুবই খারাপ। এর তো বিভিন্ন রকম প্রভাব আছে। চাঁদাবাজি আগেও ছিল, এখনো আছে। ঘুস-দুর্নীতি বেড়ে গেছে। যদিও বলা হচ্ছে এখন ঘুস-দুর্নীতি লাগে না। কিন্তু খুব বেশি কাজও হচ্ছে না। অনেক জায়গায় ফাইল প্রসেসিং হচ্ছে না। আগের প্রশাসন রয়ে গেছে। কিছু পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু তারা তো গুছিয়ে আনতে পারেনি এখনো। সরকার তো প্রায় আগের মতোই চলছে। তারা যে কোনো একটি খাতে আকর্ষণীয় কৌশলের প্রয়োগ দেখাবে, তেমন নিদর্শন কম। একমাত্র বাংলাদেশ ব্যাংক আর্থিক খাতকে কিছুটা উন্নত করতে পেরেছে। অন্য কিছু তো দৃশ্যমান নয়। আশার কথা হলো ব্যাপক দুর্নীতি বা বড় বড় প্রকল্প, এগুলো হচ্ছে না। সরকার কিছুটা পিছুটান দিয়েছে, এটা খুবই ভালো লক্ষণ।’

 

তিনি আরো বলেন, ‘আয় কম, ব্যয় বেশি। সরকারের সেদিকে নজর দিতে হবে। আমাদের ব্যয় কমাতে হবে। এছাড়া কোনো গতি নেই। সরকারের ৭-৮ লাখ কোটি টাকার যে বাজেট, সেখানে ৫-৬ লাখ কোটি টাকা শুধু প্রশাসনিক খরচ। এখানেই যদি ৬০-৭০ শতাংশ চলে যায়, তাহলে বিভিন্ন কিস্তি, সুদ ইত্যাদি কীভাবে দেবেন আর এখানে উন্নয়নের জন্য কীভাবে খরচ করবেন? সরকার জোর করে বলছে, ট্যাক্স-জিডিপি রেশিও কম। এটা সত্য। কিন্তু তা হবে কোত্থেকে? আয় বাড়লে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে, কর্মসংস্থান বাড়লে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা তৈরি হবে, আয়কর বাড়বে, আরো ১০টা কারখানা হবে। একটা মানুষ যখন ভালো বেতন পাবে, তখন সে কাপড়-চোপড় থেকে শুরু করে খাদ্যদ্রব্য, দুধ, প্রোটিন, ভিটামিন সবগুলো সে খাবে। তাহলে তো আরেকটা কারখানার চাহিদা বাড়ল। সেখানে আয় বাড়ল। এটি তো কোনো রকেট সায়েন্স না। সাধারণ কথাবার্তা, আমরা সবাই জানি। ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে এগুলোই আমরা বলি।’

 

নতুন বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য নীতিকাঠামো ব্যবসাবান্ধব হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিএসআরএম চেয়ারম্যান আলীহোসাইন আকবরআলী। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি বাংলাদেশ যদি স্থানীয় বিনিয়োগ করতে হয় বা বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে চায় নীতি কাঠামোটি ব্যবসাবান্ধব হওয়া খুব প্রয়োজন। তাৎক্ষণিকভাবেই এটা প্রয়োজন। স্থানীয় ও বিদেশী বিনিয়োগকারীদের সমস্যা অনুধাবনে সরকারের গতি শ্লথ। এটি গুরুত্বসহকারে তাদের বিবেচনা করা উচিত। এটি তারা পারবেন না বলে যদি তারা মনে করেন, তাহলে তা উদ্যোক্তাদের বলে দেয়া উচিত। এতে বিনিয়োগকারীরা পরিস্থিতিটা বুঝতে পারবেন। সহায়ক নীতি না দিলে নতুন বিনিয়োগ আসবে না।’

নতুন বিনিয়োগের চিন্তা করছেন না উদ্যোক্তারা