বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) প্রশাসক আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিতে বৈচিত্র্য আনার জন্য উচ্চমূল্যের নন-কটন পোশাক রপ্তানি, পরিবেশগত সাসটেইনেবিলিটির প্রসার এবং প্রযুক্তির মানোন্নয়নে গুরুত্ব দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। তিনি এ মন্তব্য করেন, মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতের সময়।

আরও পড়ুন

ভুলের ক্ষেত্রে ৪০০% জরিমানার বিধান প্রত্যাহার চায় বিজিএমইএ

বৈঠকে, বিজিএমইএ সাপোর্ট কমিটির সদস্য মিরান আলী ও শিহাবুদ্দোজা চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। উভয় পক্ষের আলোচনার মূল বিষয় ছিল বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করা এবং বিশেষ করে পোশাক ও বস্ত্র খাতে আরও সহযোগিতার সুযোগ অনুসন্ধান।

আনোয়ার হোসেন বাংলাদেশ থেকে চীনে পণ্য রপ্তানিতে বৈচিত্র্য আনানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি উভয় দেশের ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদলের মধ্যে সফর বিনিময় এবং বাণিজ্য প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।

এ সময় তিনি চীনা রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করেন, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের আরও সহযোগিতা দেওয়ার জন্য এবং বাজার সম্পর্কিত তথ্যাদি শেয়ার করে চীনের সঙ্গে মসৃণ ব্যবসায়িক সংযোগ স্থাপন এবং বাণিজ্য সম্প্রসারণে সহায়তা করার জন্য।

চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, চীন বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে সক্ষম এবং তারা ম্যান-মেইড ফাইবারভিত্তিক ফেব্রিক্স, কেমিক্যালস এবং অন্যান্য কাঁচামালের প্রধান সরবরাহকারী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।