ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৩:৩৬:৪৮ পিএম

নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীন

২৬ জুন, ২০২৪ | ৮:৩৭ এএম

নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীন

কোরবানির ঈদ হলো প্রায় এক সপ্তাহ। এখনো জমে উঠেনি চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজার। মোটা চাল, দেশি পেঁয়াজ ও চায়না আদার দাম আরেক দফা বাড়িয়েছেন দেশের সর্ববৃহৎ এ পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা। যার প্রভাব সরাসরি পড়ছে খুচরা বাজারেও। নিত্যপণ্যের লাগামছাড়া দাম এখন সাধারণ ভোক্তাদের সাধ্যের বাইরে।

 

ফলে বাজেট হিসেবে বাজার কাটছাঁট করেই বাড়ি ফিরছেন ক্রেতারা। তারা বলছেন, ঈদ-পরবর্তী সময়ে এখনো খোলেনি বেশিরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এ সুযোগে যেসব দোকান খোলা রয়েছে, তারা নিচ্ছেন দ্বিগুণ দাম। এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছে ভোক্তার অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ক্যাব। তবে জেলা প্রশাসক বলছেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে প্রশাসন।

 

দেখা গেছে, চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, আসাদগঞ্জ ও পাহাড়তলী এলাকায় কিছু দোকান খুলেছে। অধিকাংশ দোকান এখনো বন্ধ। পাশাপাশি পণ্যবাহী গাড়ির তেমন কোনো জটলাও চোখে পড়েনি। দেখা যায়নি ক্রেতার আনাগোনাও। যারা দোকান খুলেছেন, তারাও পার করছেন অলস সময়।

 

খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা বলছেন, অফিস-আদালত খুললেও কারখানাগুলো এখনো পুরোদমে চালু হয়নি। রেস্টুরেন্ট ও হোটেলগুলো বন্ধ রয়েছে। আবার ঈদের আগে অনেক খুচরা দোকানদার ঈদ ও ঈদ-পরবর্তী সময়ের জন্য প্রচুর মালপত্র সংগ্রহ করে নিয়েছেন। অন্যদিকে ঈদের ছুটিতে যাওয়া মানুষ এখনো পুরোপুরি শহরে ফেরেনি। ফলে ক্রেতা সংকট দেখা দিয়েছে। সামনের সপ্তাহ থেকে পুরোদমে কার্যক্রম শুরু হওয়ার আশা তাদের।


জানা গেছে, ঈদের তিন দিন আগে খাতুনগঞ্জে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৭৫ টাকায়। বর্তমানে পণ্যটি কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এদিকে ঈদের আগে প্রতি কেজি চায়না আদা ২৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে পণ্যটিতে কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়ে দাম ঠেকেছে ২৬০ টাকায়।

 


একই পরিস্থিতি চট্টগ্রামের বৃহত্তর ভোগ্যপণ্যের বাজার পাহাড়তলীতেও। মোটা সেদ্ধ চালের বস্তায় (৫০ কেজি) দাম বেড়েছে ৫০ টাকা। বর্তমানে প্রতি বস্তা মোটা সেদ্ধ চালের বস্তায় নতুন করে ৫০ টাকা বেড়ে ২ হাজার ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্য জাতের চালগুলো আগের দরে বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে প্রতি বস্তা স্বর্ণা চাল ২ হাজার ৪৫০ টাকা, নূরজাহান চাল ২ হাজার ৬০০, মিনিকেট ২ হাজার ৬৫০, জিরাশাইল সেদ্ধ চাল ৩ হাজার ৪৬০, নাজিরশাইল সেদ্ধ ৩ হাজার ৬৫০, মিনিকেট আতপ চাল ২ হাজার ৮৫০, পাইজাম ২ হাজার ৬৫০, বেতি ২ হাজার ৭০০, কাটারি আতপ চাল ৩ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

 

পাহাড়তলী বণিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন বলেন, মোটা চালের সংকট রয়েছে। এ কারণে মোটা চালের দাম কিছুটা বেড়েছে। অন্য জাতের চালগুলো আগের দরে বিক্রি হচ্ছে। পাহাড়তলী বাজারে এখনো অনেক দোকান বন্ধ রয়েছে। ক্রেতাও নেই।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলেন, ঈদের এই ছুটির সময়ে প্রশাসনের তৎপরতা না থাকায় অসৎ ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বাড়িয়েছে। ফলে আমরা আশা করব বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন সব ব্যবস্থা নেবে।

 

নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীন