ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১০:৩১ এএম
অনলাইন সংস্করণ
পণ্যের দাম কমাতে ভ্যাট ৫ শতাংশের বেশি নয়
১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১০:৩১ এএম

ছবি: সংগ্রহ
বাংলাদেশে নতুন করে আরোপকৃত বাড়তি মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) প্রত্যাহারের দাবিতে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানের সঙ্গে বৈঠক করেছে দেশের শীর্ষ চল্লিশটি বাণিজ্য সংগঠন নিয়ে গঠিত বৈষম্যমূলক কর বৃদ্ধি প্রতিরোধ কমিটি। কমিটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ব্যবসায়ী পর্যায়ে সরবরাহের ক্ষেত্রে সকল পণ্যের ওপর ভ্যাট ৫ শতাংশই পুনরায় বহাল করতে হবে। তারা মনে করে, ৭.৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের ফলে পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যা ভোক্তাদের কাছে আদায় করা সম্ভব হবে না।
এনবিআর চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠকে কমিটির আহ্বায়ক সহিদুল হক মোল্লা ও সদস্য সচিব শহীদুল হক শহীদ ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট ৫ শতাংশ বহাল রাখার গুরুত্ব তুলে ধরেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এনবিআরের সদস্য, এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান, এবং অর্ধ শতাধিক বাণিজ্য সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।
বৈঠকে কমিটির পক্ষ থেকে এনবিআর চেয়ারম্যানকে দেওয়া লিখিত বক্তব্যে সহিদুল হক মোল্লা বলেন, "ব্যবসায়ী পর্যায়ে সরবরাহের ক্ষেত্রে সকল পণ্যের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাটের পরিবর্তে ৭.৫ শতাংশ আরোপ করা হয়েছে। এই পদক্ষেপ সম্পর্কে আমাদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ রয়েছে, কারণ এতে ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন, যা ভোক্তাদের কাছ থেকে আদায় করা যাবে না।"
তাছাড়া, কৃষি পণ্য এবং শিল্প যন্ত্রাংশের উপরও ৭.৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের ফলে কৃষক ও সাধারণ মানুষের ব্যবহৃত পণ্যের দাম অতিরিক্ত বৃদ্ধি পাবে, যা সরকারের কৃষি-খাতে ভর্তুকি নীতির সাথে সাংঘর্ষিক হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মোল্লা আরও জানান, ব্যবসায়ীরা ভ্যাট ও ট্যাক্স পরিশোধ করে সরকারের পাশে দাঁড়াচ্ছে, তবে অতিরিক্ত কর চাপিয়ে দেয়ার ফলে দেশের শিল্প খাত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, "বাড়তি ভ্যাট কমানো না হলে অর্থনীতিতে যে সংকট তৈরি হবে, তা ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে আমরা ভবিষ্যতে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরবো।"
এদিকে, এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বৈঠকে আশ্বস্ত করেছেন যে, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে ভ্যাট কমানোর বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে, এবং ব্যবসায়ীরা এতে খুশি হবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন।
বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিরা, যারা মূসক ও শুল্ক বৃদ্ধি নিয়ে নিজেদের উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং যৌক্তিক কর আরোপের পক্ষে মতামত দেন।
