ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
৪ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৮:৫২ এএম
অনলাইন সংস্করণ
এ সম্পর্কিত আরো খবর
পদ্মার হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে গত বছরের তুলনায় প্রবাহ বেশি
৪ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৮:৫২ এএম
![পদ্মার হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে গত বছরের তুলনায় প্রবাহ বেশি](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2025/01/04/20250104085159_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহীত
বাংলাদেশ-ভারত পানি চুক্তি অনুযায়ী দুই দেশের পদ্মা ও গঙ্গায় যৌথভাবে পানি পর্যবেক্ষণ শুরু হয়েছে। বছরের শেষদিন ৩১ ডিসেম্বর পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পদ্মার পানির উচ্চতা গত বছরের তুলনায় বেশি ছিল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে কর্তব্যরত উপসহকারী প্রকৌশলী ইলিয়াস হোসেন।
বুধবার সকালে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্ট ও ভারতের গঙ্গার ফারাক্কা পয়েন্টে দুই দেশের প্রতিনিধি দল এ পর্যবেক্ষণ শুরু করেন। এ সময় সেখানে পানির পরিমাণ ছিল ৫ দশমিক ৮৫ সেন্টিমিটার। গত বছর এদিনে ছিল ৫ দশমিক ৬২ সেন্টিমিটার।
১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ পানি চুক্তির পর প্রতি বছর ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত এ পর্যবেক্ষণ চলে। চুক্তি অনুযায়ী ভারতের ফারাক্কা পয়েন্ট ও বাংলাদেশের হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পর্যবেক্ষণ করা হয়।
উত্তরাঞ্চলীয় পানিবিজ্ঞান পরিমাপ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী ইলিয়াস হোসেন জানান, চলতি বছর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি। গত বছর এ সময়ে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ ছিল ৭৮ হাজার ৫০০ কিউসেক। গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর ছিল ৮৫ হাজার কিউসেক।
চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, প্রথম ১০ দিন ফারাক্কায় ৭০ হাজার কিউসেক বা তার কম পানির প্রবাহ থাকলে বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশই ৫০ শতাংশ করে পানি পাবে। দ্বিতীয় ১০ দিন ফারাক্কা পয়েন্টে ৭০ হাজার কিউসেক পানিপ্রবাহ থাকলে বাংলাদেশ ৩৫ হাজার কিউসেক পানি পাবে। তৃতীয় ১০ দিন ফারাক্কা পয়েন্টে ৭৫ হাজার কিউসেক বা তার বেশি পানিপ্রবাহ থাকলে ভারত পাবে ৪০ হাজার কিউসেক পানি। বাকিটা পাবে বাংলাদেশ।
তবে চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ১১ মার্চ থেকে ১০ মে পর্যন্ত বাংলাদেশ-ভারত তিন দফা ১০ দিনের হিসাবের ক্রমানুসারে ৩৫ হাজার কিউসেক করে পানি পাবে।
![পদ্মার হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে গত বছরের তুলনায় প্রবাহ বেশি](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)