ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ | ২:৫১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সফরে সব দিতে প্রস্তুত বেইজিং
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ | ২:৫১ পিএম
![পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সফরে সব দিতে প্রস্তুত বেইজিং](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2025/01/12/20250112145121_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহ
বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আগামী ২০ জানুয়ারি চীনের বেইজিং সফরে যাচ্ছেন। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সফর বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের সূচনা এবং পররাষ্ট্রনীতিতে বহুমুখিতার ইঙ্গিত বহন করছে।
গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির ফোকাস ছিল ভারতের দিকে, বিশেষ করে সরকার শেখ হাসিনার প্রথম বিদেশ সফরের ক্ষেত্রে ভারতকেই প্রাধান্য দিয়েছিল। তবে এবার চীনে প্রথম সফর করার সিদ্ধান্ত এই প্রচলন থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দেয়।
অর্থনীতিবিদ মাশরুর রিয়াজ বলেন, “গত ১৫ বছরে আমাদের পররাষ্ট্রনীতি দক্ষিণ এশিয়ার একটি দেশের ওপরই বেশি নির্ভরশীল ছিল। এবার চীনের সাথে সম্পর্ক জোরদারের এই পদক্ষেপ ইতিবাচক দিক হতে পারে।”
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক সাহাব এনাম খান বলেন, “চীন দিয়ে দ্বিপক্ষীয় সফর শুরু করা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে বহুমুখীতা আনার ইঙ্গিত দেয়। এটি যুক্তরাষ্ট্র বা লন্ডন দিয়ে শুরু হলেও সাধুবাদ পেত। তবে নির্দিষ্ট কোনো দেশের ওপর নির্ভরশীল না থাকার এই কৌশল প্রশংসার যোগ্য।”
চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিন পিং-এর সাথে করা ২৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ চুক্তির মাত্র আট বিলিয়ন ডলারই বাংলাদেশের হাতে এসেছে। সরকার আশা করছে, এই অর্থপ্রবাহে গতি আনতে পারবে। একইসাথে, রোহিঙ্গা সংকটসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে চীনের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, চীনকে আস্থায় নিয়ে এই সংকট সমাধানে বাংলাদেশ নতুন দিগন্তের দিকে অগ্রসর হতে পারে।
মাশরুর রিয়াজ আরও বলেন, “এর আগে আলোচনায় বাংলাদেশের প্রস্তুতির ঘাটতির কারণে চুক্তির পুরো সুবিধা আসেনি। এবার এই বিষয়গুলো বিবেচনায় নিতে হবে।”
রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানে চীনের সহযোগিতা বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। সাহাব এনাম খান জানান, "রাখাইন অঞ্চলের স্থিতিশীলতা এবং রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে চীনের সাথে যৌথভাবে কাজ করা প্রয়োজন।"
চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন জানিয়েছেন, “বাংলাদেশের বর্তমান সরকার এবং জনগণের যে প্রয়োজন, তা পূরণের জন্য বেইজিং প্রস্তুত।”
এদিকে, পররাষ্ট্র সচিব জমিস উদ্দিন বলেছেন, “চীনের সাথে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড় ও বিস্তৃত। পররাষ্ট্র উপদেষ্টার এই সফর বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থকে সামনে রেখে সাজানো হচ্ছে।” এ সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ চীন সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
- ট্যাগ সমূহঃ
- বেইজিং
- সফরে সব দিতে প্রস্তুত
- পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
![পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সফরে সব দিতে প্রস্তুত বেইজিং](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)