ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৭:২৫:৪৭ পিএম

পরিবর্তন আসছে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচিতে

১৫ অক্টোবর, ২০২৪ | ৩:৪১ পিএম

পরিবর্তন আসছে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচিতে

ছবি: সংগ্রহ

সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচিতে জনগণের অংশগ্রহণ বাড়াতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এক্ষেত্রে বিধিমালা পরিবর্তন করে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির পাশাপাশি বেশকিছু নীতিগত সিদ্ধান্ত আসতে পারে। তবে চালু থাকা চারটি স্কিম আব্যাহত থাকবে। আপাতত নতুন কোনো স্কিম অন্তর্ভুক্ত হবে না। সোমবার (১৪ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সর্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষের পরিচালনা পর্ষদের প্রথম সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে।

 

সভা শেষে সর্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য গোলাম মোস্তফা বলেন, সব দেশের পেনশনে সবসময় সংস্কারের সুযোগ থাকে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই কখনও বয়স, কখনও সুবিধা বাড়ে। সামনের দিকে এগুতে পেনশন কর্তৃপক্ষ যদি মনে করে কোনো জায়গায় পরিবর্তন আনলে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়বে, তাহলে তা করা হবে। আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হলেও যেকোনো সংস্কার বিধিমালা দিয়েই করা সম্ভব। পরিবর্তন আনলে এ কর্মসূচি আরও আকর্ষণীয় হবে। অর্থ উপদেষ্টা এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। সর্বিকভাবে এ কর্মসূচি জোরদার করার বিষয়ে সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে।

 

তিনি বলেন, পেনশন কর্তৃপক্ষ স্থানীয় প্রশাসনকে সম্পৃক্ত করে উদ্যোগ নেওয়ায় অংশগ্রহণ ব্যাপক হারে বেড়েছিল। কিন্তু পরবর্তী প্রেক্ষাপটে গত কয়েক মাস আর সেভাবে প্রচারণা চালানো সম্ভব হয়নি। এ কারণে প্রধন উপদেষ্টার কার্যালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয়ে বাড়তি উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়টি সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে। তবে এ কার্যক্রম চাঙ্গা করতে একটু সময় লাগবে। তাছাড়া সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, চালু থাকা চারটি স্কিম আব্যাহত থাকবে, আপাতত নতুন কোনো স্কিম অন্তর্ভুক্ত হবে না।

 

পেনশন স্কিমের অর্থ বিনিয়োগ করে যে মুনাফা হয়েছে তা বন্টনের বিষয়ে জানতে চাইলে গোলাম মোস্তফা বলেন, চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত যে মুনাফা হয়েছে, তার হিসাব করে চলতি মাসেই গ্রহকারীদের হিসাবে মুনাফার অর্থ বন্টন করে দেয়া হবে। স্কিম গ্রহকারীরা তাদের হিসাবে ঢুকে জমা করা অর্থের পরিমাণ এবং মুনাফার পরিমাণ দেখতে পারবেন।

 

অপরদিকে পেনশন স্কিম গ্রহণ করে চাঁদা বাবদ সব থেকে বেশি অর্থ জমা দিয়েছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরীজীবিরা। তাদের জন্য চালু করা প্রগতি স্কিমে ইতোমধ্যে চাঁদা জমা পড়েছে ৪৭ কোটি ২৫ লাখ ৫০০ টাকা। এ স্কিমে নিবন্ধনকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৪১০ জন। চাঁদা দেয়া এবং নিবন্ধন করা দুদিক থেকেই সবার নিচে রয়েছে প্রবাসীরা। প্রবাস স্কিমে এখন পর্যন্ত ৯১০ জন ৪ কোটি ৮৫ লাখ ২৪ হাজার টাকার চাঁদা দিয়েছেন। এছাড়া অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত বা স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য সুরক্ষা স্কিমে ৬৩ হাজার ১৭৪ গ্রাহক চাঁদা দিয়েছে ৩৭ কোটি ১৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা।

পরিবর্তন আসছে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচিতে