রাজধানী ঢাকায় অবৈধ পলিথিন শপিং ব্যাগ ব্যবহার রোধে অভিযান জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি, তপন কুমার বিশ্বাস, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং কমিটির সভাপতি ও অতিরিক্ত সচিব, এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, অবৈধ পলিথিন শপিং ব্যাগ উৎপাদন বন্ধে সরকারের অভিযান আরও ত্বরান্বিত করা হবে।

আরও পড়ুন

অনলাইন জুয়ায় ৫০ লাখ মানুষ, অভিযানে নামছে সরকার

তিনি বলেন, "এজন্য ভ্রাম্যমাণ আদালতের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং পলিথিনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।" এ সময়, রাজধানীর হাতিরপুল ও পলাশী কাঁচাবাজারে পলিথিন ব্যবহারের বিরুদ্ধে পরিচালিত মনিটরিং কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে গিয়ে তপন কুমার বলেন, "পলিথিনের কারণে পরিবেশে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। এটি নদী-খালের প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করছে এবং মাটির উর্বরতা নষ্ট করছে।"

এছাড়া, ৩ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া অভিযানে দেশের বিভিন্ন স্থানে ২১৬টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়েছে, যার মাধ্যমে ৪৩৮টি প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ২৮ লাখ ৭৩ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ৫৯ হাজার ৯৫৯ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়েছে।

তপন কুমার আরও বলেন, নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং বিকল্প ব্যাগ ব্যবহারে অভ্যস্ততা গড়ে তোলার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেন, "বাজারে গেলে সবাইকে তাদের নিজস্ব ব্যাগ নিয়ে যেতে হবে। পাটের বা কাপড়ের ব্যাগের পাশাপাশি মোমপালিশ করা কাগজের ব্যাগেও মাছ বা মাংস পরিবহন করা সম্ভব।"

মন্ত্রণালয়টি জনগণ এবং বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে পলিথিন ব্যবহারের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব বিকল্প ব্যাগ ব্যবহারের প্রতি উৎসাহিত করছে। এছাড়া, জনমত ও গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করে তপন কুমার বলেন, "পলিথিনের বিরুদ্ধে আমাদের এই অভিযানে সফল হতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।"

এ অভিযানে পরিবেশ মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এবং সংশ্লিষ্ট বাজার কমিটির প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেছেন। মনিটরিং টিম বাজারের দোকানগুলোতে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার পর্যবেক্ষণ করেছে এবং দোকানিদের পাট বা কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহারে উৎসাহিত করতে প্রচারণা চালানো হয়েছে।

এ অভিযান চালিয়ে সরকার পরিবেশ রক্ষায় আরো একধাপ এগিয়ে যেতে চায় এবং জনসাধারণের সহায়তা নিয়ে পলিথিন মুক্ত বাংলাদেশ গঠনে অঙ্গীকারবদ্ধ।