পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, পলিথিন উৎপাদনকারীদের তালিকা করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তিনি আরো জানান, নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে অভিযান তীব্র করা হবে এবং বায়ুদূষণ ও পাহাড় কাটা বন্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন আরও কঠোর পদক্ষেপ নেবে।

আরও পড়ুন

শুক্রবার থেকে কাঁচাবাজারেও পলিথিন নিষিদ্ধ

সচিবালয়ে ‘চট্টগ্রামে নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ ও প্লাস্টিক দূষণ রোধ’ বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় উপদেষ্টা বলেন, জেলা প্রশাসন, সিটি কর্পোরেশন এবং পরিবেশ অধিদপ্তর যৌথভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে, যা পলিথিন ব্যবহারের বিরুদ্ধে আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে সহায়তা করবে।

উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আরো বলেন, পাহাড় কাটা বন্ধে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি জানান, পাহাড়ের উপর সাইনবোর্ড লাগানো হবে এবং টহল বাড়ানো হবে। পাহাড় মালিকদের চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হবে এবং কেউ আইন অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পলিথিন উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, তাদের তালিকা তৈরি করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, প্যাকেজিং পণ্যে বারকোড ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হবে, যা পলিথিন ব্যবহারের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগে সহায়ক হবে।

সভায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তারা পরিবেশ সংরক্ষণ এবং পলিথিন ব্যবহার বন্ধে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

সভায় চট্টগ্রাম বিভাগের সরকারি, বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, পরিবেশবাদী সংগঠনের সদস্য, ব্যবসায়ী এবং গণমাধ্যমকর্মীরা অনলাইনে অংশগ্রহণ করেন। তারা নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে আইন প্রয়োগ এবং জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান জানান।

এছাড়া, তারা মনে করেন, পলিথিন ব্যবহারের উপর কঠোর নজরদারি এবং শাস্তি প্রণালী কার্যকর হলে দেশের পরিবেশ এবং সুরক্ষা বজায় রাখা সম্ভব হবে।