ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ | ৪:৫০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
এ সম্পর্কিত আরো খবর
পাকিস্তানে প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীগুলো সাত দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ | ৪:৫০ পিএম
![পাকিস্তানে প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীগুলো সাত দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/11/25/20241125164956_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহ
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার কুররাম জেলায় উত্তেজনা প্রশমনের জন্য সরকারের প্রচেষ্টার পর অঞ্চলটির প্রতিদ্বন্দ্বী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীগুলো সাত দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। রবিবার (২৪ নভেম্বর) তারা যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের কর্মকর্তারা।
খাইবার পাখতুনখোয়া সরকারের তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মুহাম্মদ আলী সাইফ এক বিবৃতিতে বলেছেন, গোত্রগুলোর মধ্যে ৭ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি হয়েছে। উভয় পক্ষ একে অপরের মৃতদেহ এবং বন্দিদের ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ব্যারিস্টার সাইফ জানিয়েছেন, মধ্যস্থতাকারী দল শনিবার কুরামের প্রধান শহর পারাচিনারে গিয়ে শিয়া ও সুন্নি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে। এ সময় পুরো জেলায় কার্যত কারফিউ জারি ছিল এবং অনেক গ্রামে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো রাস্তায় টহল দিচ্ছিল।
এর আগে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া আলাদা এক বিবৃতিতে ব্যারিস্টার সাইফ বলেছেন, ‘স্বার্থসংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে আলোচনায় ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে।’
খাইবার পাখতুনখোয়ার পুলিশ প্রধান এবং মধ্যস্থতাকারী দলের আরেক সদস্য আখতার হায়াত গন্ডপুর জানান, শিয়া নেতারা বেসামরিক যানবাহনে হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং ভুক্তভোগীদের জন্য ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।
পাকিস্তান সরকার এখনো প্রকাশ্যে হামলাকারীদের পরিচয় জানায়নি এবং কেউ এর দায় স্বীকার করেনি।
খাইবার পাখতুনখোয়ার আইনমন্ত্রী আফতাব আলাম আফ্রিদি বলেছিলেন, ‘যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি আসার পর আমরা মূলে থাকা সমস্যাগুলো সমাধান শুরু করতে পারব।’
এই যুদ্ধবিরতি এমন সময়ে এসেছে, যখন কুররাম জেলার ভূমি বিরোধ মীমাংসার জন্য খাইবার পাখতুনখোয়া সরকার একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাম্প্রতিক সহিংসতায় মৃত্যুর সংখ্যা ৬৪ তে পৌঁছানোর পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সহিংসতা শুরু হয় বৃহস্পতিবার। ওইদিন বন্দুকধারীরা বেসামরিক গাড়ি বহরে হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ৪০ জনকে হত্যা করে, যাদের বেশিরভাগই শিয়া মুসলিম ছিলেন। পাল্টা প্রতিশোধ হিসেবে, কুররাম এলাকার বাসিন্দারা সুন্নি মুসলিমদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়। শনিবারও সেখানে আরও ২১ জন নিহত হয়।
খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী কুররাম জেলার ভূমি নিয়ে বিরোধের কারণে স্থানীয় শিয়া ও সুন্নি মুসলিমরা কয়েক দশক ধরে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে লিপ্ত।
![পাকিস্তানে প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীগুলো সাত দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)