ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ১১:০৭:৩৪ এএম

পাকিস্তান থেকে প্রথমবার চিটাগুড় এল মোংলা বন্দরে

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৫:৫৪ পিএম

পাকিস্তান থেকে প্রথমবার চিটাগুড় এল মোংলা বন্দরে

ছবি: সংগ্রহ

বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো পাকিস্তান থেকে চিটাগুড় আমদানি করেছে, ভারতকে বাদ দিয়ে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মোংলা বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে পানামার পতাকাবাহী জাহাজ এমটি ডলফিন-১৯ নোঙর করে। এর মাধ্যমে শুল্ক বৃদ্ধির কারণে ভারত থেকে চিটাগুড় আমদানির পরিবর্তে পাকিস্তান থেকে এ পণ্য আনা হলো।

 

 

জাহাজটি ২২ জানুয়ারি পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে পণ্যবোঝাই করে মোংলার উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। ৭ মিটার ড্রাফট ও ১৪৫ মিটার দৈর্ঘ্যের এই জাহাজে ৫ হাজার ৫০০ টন চিটাগুড় রয়েছে। চিটাগুড় খালাসের পর কিছু অংশ মোংলার ইউনাইটেড রিফাইনারি অ্যান্ড বাল্ক স্টোরেজ লিমিটেডে পরিশোধন করা হবে এবং বাকি অংশ রাজশাহী বিভাগের সিরাজগঞ্জ জেলার বাঘাবাড়ীতে সড়ক ও নৌপথে পরিবহন করা হবে।

 

 

পূর্বে, বাংলাদেশের ফিডমিলগুলোর জন্য চিটাগুড় ভারত থেকে আমদানি করা হতো, তবে সম্প্রতি ভারত এই পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধি করায় ব্যয় বেড়ে যায়। ফলে, চিটাগুড়ের দাম কমাতে পাকিস্তান থেকে আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান পিঅ্যান্ডপি ট্রেডিংয়ের প্রোপ্রাইটর আনোয়ারুল হক জানান, শুল্ক বৃদ্ধি ও দাম বৃদ্ধির কারণে বিকল্প হিসেবে পাকিস্তান থেকে চিটাগুড় আমদানি করা হচ্ছে, যা পশুখাদ্য উৎপাদনকারীদের কম দামে সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

 

 

আনোয়ারুল হক বলেন, "একসময় বাংলাদেশে ১৩টি সুগার মিল ছিল, যেগুলো চালু থাকলে চিটাগুড় রপ্তানি করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা হতো। তবে এখন মিলগুলো বন্ধ হওয়ায় ভারত থেকে চিটাগুড় আমদানি করতে হতো। কিন্তু ভারত শুল্ক বাড়ানোর কারণে দাম বেড়ে গেছে, আর তাই আমরা পাকিস্তান থেকে আমদানি করেছি।"

 

 

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হার্বার অ্যান্ড মেরিন) এমডি শফিকুল ইসলাম সরকার বলেন, "নতুন নতুন পণ্য আমদানি এবং রপ্তানি হলে বন্দরের আয় ও ব্যস্ততা বৃদ্ধি পায়। আমদানি-রপ্তানিকারকদের সহায়তা করার জন্য মোংলা বন্দরের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে।"

 

 

চিটাগুড়, যা সুগার মিলের বর্জ্যজাতীয় একটি পণ্য, মূলত চিনির উৎপাদন প্রক্রিয়ার একটি উপপণ্য হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশে একসময় ১৩টি সুগার মিল ছিল, কিন্তু বর্তমানে বেশিরভাগ মিল বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে চিটাগুড় আমদানির পরিমাণ বাড়েছে।

 

 

এই নতুন উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশের পশু পালন খাতের উন্নতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে, এবং এতে পশুখাদ্যের দাম কমানো সম্ভব হবে।

পাকিস্তান থেকে প্রথমবার চিটাগুড় এল মোংলা বন্দরে