ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১:১০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
পাচার হওয়া সম্পদ দেশে ফেরাতে কাজ শুরু করেছে জেআইটি
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১:১০ পিএম
![পাচার হওয়া সম্পদ দেশে ফেরাতে কাজ শুরু করেছে জেআইটি](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/12/15/20241215131007_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহ
বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদ দেশে ফেরাতে আন্তঃসংস্থা টাস্কফোর্সের অধীনে কাজ শুরু করেছে জয়েন্ট ইনভেস্টিগেশন টিম (জেআইটি)। জয়েন্ট ইনভেস্টিগেশন টিমের সংখ্যা ১০। প্রত্যেক টিমে চারজন করে মোট ৪০ সদস্য রয়েছেন। জেআইটিতে মূলত নেতৃত্ব দিচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) এবং কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর (সিআইআইডি)। এ চার সংস্থা মূলত অপারেশনাল কাজ পরিচালনা করছে। তাদের আইনি ও এনফোর্সমেন্ট সহায়তাসহ অন্যান্য সহায়তা দেবেন আন্তঃসংস্থা টাস্কফোর্সের অন্য সদস্যরা। টাস্কফোর্সের একজন সদস্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে ফেরত আনতে গত ২৯ সেপ্টেম্বর বিদ্যমান টাস্কফোর্স পুনর্গঠন করে সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয়ের দেয়া প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের ২০২৩ সালের ১৫ জানুয়ারি দেয়া প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে গঠিত বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদ বাংলাদেশে ফেরত আনা ও ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে গঠিত আন্তঃসংস্থা টাস্কফোর্স সরকার পুনর্গঠন করেছে। টাস্কফোর্স প্রয়োজনে সরকারি-বেসরকারি কোনো সদস্যকে কো-অপ্ট করতে পারবে।
আন্তঃসংস্থার একজন সদস্য জানান, কো-অপ্টের পর সদস্য সংখ্যা বেড়েছে। তারপর জেআইটি কাজ শুরু করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক কার্যালয়ে অফিসও স্থাপন করা হয়েছে।
কো-অপ্টের পর সদস্য হিসেবে রয়েছেন সিআইসির মহাপরিচালক (ডিজি), সিআইআইডির মহাপরিচালক (ডিজি), সিআইডির প্রধান, দুদকের সংশ্লিষ্ট মহাপরিচালক (ডিজি), পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট মহাপরিচালক (ডিজি), আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সংশ্লিষ্ট একজন অতিরিক্ত সচিব, আইন ও বিচার বিভাগের সংশ্লিষ্ট একজন অতিরিক্ত সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট একজন অতিরিক্ত সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট একজন অতিরিক্ত সচিব, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধি।
আন্তঃসংস্থা টাস্কফোর্সের সভাপতি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। সাচিবিক সহায়তা দিতে সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান।
দুদকের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘তদন্ত কার নেতৃত্বে হবে, তাই তো এখনো ঠিক হয়নি। টাস্কফোর্সের পরিকল্পনা ও আইনগত বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেছে দুদক। পুলিশ কিভাবে লিড করবে?’
এনবিআরের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অধীনে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকেই প্রথমে উদ্যোগ নেয়া হয়। সিআইসিকে লিড দিতে বলা হয়। পরে সেটি সংশোধন করে আরো অংশীদার নেয়া হয়।’
পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘জেআইটিতে সিআইডিই লিড দেবে।’
টাস্কফোর্সের সভাপতি করা হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে। আর সদস্য করা হয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন, বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর এবং বিএফআইইউর একজন করে উপযুক্ত প্রতিনিধিকে।
টাস্কফোর্সের কার্যপরিধির কথা বলা হয়—বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ বা সম্পদ চিহ্নিতকরণ ও তদন্তে সংশ্লিষ্ট পক্ষকে সহযোগিতা করা, পাচারকৃত সম্পদ উদ্ধারে দায়ের করা মামলাগুলোর কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করা ও তা দূরীকরণে উদ্যোগ নেয়া, বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদ বাংলাদেশে ফেরত আনার উদ্যোগ নেয়া, জব্দ বা উদ্ধার হওয়া সম্পদের ব্যবস্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দেশ, বিদেশী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ, তথ্য আহরণ করা এবং পাচার হওয়া সম্পদ উদ্ধারে সংশ্লিষ্ট পক্ষের সক্ষমতা বাড়ানো ও অভ্যন্তরীণ সমন্বয় সাধন।
প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়েছে, টাস্কফোর্স প্রয়োজনে সরকারি-বেসরকারি কোনো সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে এবং কোনো দেশী-বিদেশী সংস্থার প্রতিনিধি বা বিশেষজ্ঞকে সভায় উপস্থিত হওয়াসহ বিশেষজ্ঞ মতামত বা পরামর্শ দেয়ার অনুরোধ করতে পারবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. জাকির হোসেন চৌধুরী টাস্কফোর্সের কার্যাবলি সমন্বয় করবেন এবং বিএফআইইউ টাস্কফোর্সকে প্রয়োজনীয় সাচিবিক সহায়তা দেবে।
![পাচার হওয়া সম্পদ দেশে ফেরাতে কাজ শুরু করেছে জেআইটি](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)