ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৩:২৮:২৮ পিএম

পানি ও পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থাপনায় সুশাসনের জোর

২২ অক্টোবর, ২০২৪ | ৫:৩০ এএম

পানি ও পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থাপনায় সুশাসনের জোর

ছবি: সংগ্রহ

নিরাপদ পানি ও পয়োনিষ্কাশন এখন জাতিসংঘ স্বীকৃত মানবাধিকারের পর্যায়ে পড়লেও সুপেয় পানি সংকট ক্রমেই বাড়ছে। বর্তমানে বিশ্বের ৯০ কোটির বেশি মানুষ নিরাপদ পানি সুবিধা থেকে বঞ্চিত। পানির ন্যায়সংগত ও সর্বজনীন ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে পানি ব্যবস্থাপনায় এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।

 

তবে কিছু কিছু এলাকায় পানি সংকট তীব্র আকারে দেখা যায়, বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চলে। অন্যদিকে বাংলাদেশের জনসংখ্যার প্রায় ৬২ শতাংশের নিজস্ব স্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন থাকলেও মাত্র ৩৯ শতাংশ নিরাপদে পরিচালিত পয়োনিষ্কাশন পরিষেবা পায়। এ ব্যবধান পূরণ করার জন্য পয়োষ্কাশন অবকাঠামো নির্মাণ এবং সচেতনতা প্রচারে বিনিয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

 


গতকাল ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে জার্মানভিত্তিক ওয়াটার ইন্ট্রিগ্রিটি নেটওয়ার্কের আর্থিক সহযোগিতায় ওয়েভ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ‘সুপেয় পানি ও পয়োনিষ্কাশন খাতে চ্যালেঞ্জ, সুযোগ ও করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

 

সভায় খুলনা ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় পরিচালিত এ-বিষয়ক গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন গবেষক ড. মো. হাসান আলী ও প্রকল্পের পক্ষে উপস্থাপন করেন উইন ওয়াস প্রকল্পের সমন্বয়কারী লিপি আমেনা। স্বাগত বক্তব্য ও সঞ্চালনা করেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সুশাসন, অধিকার ও ন্যায্যতা কর্মসূচির উপপরিচালক কানিজ ফাতেমা। 

 

মো. আবদুল্লাহ পিইঞ্জ. বলেন, ‘আমাদের পরিষেবা ব্যবস্থাপনায় অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাকে উৎসাহিত করতে হবে। এরই মধ্যে আমরা ৪৮-৭২ ঘণ্টার মধ্যে যেকোনো অভিযোগ মীমাংসা করছি। গ্রাহকদের সেবায় যেসব বাধা রয়েছে, সেসব জায়গায় অটোমেশন চালু করা হয়েছে। আমাদের পরিষেবায় সমন্বয় শূন্যতা দূর করতে হবে। প্রত্যেকে যদি ব্যক্তি পর্যায়ে দায়িত্ব সম্পর্কে অবগত থাকি ও স্বচ্ছ থাকি তবে আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা সম্ভব হবে।’

 

মো. আল্লা হাফিজ বলেন, ‘পানি ব্যবস্থাপনায় রাজশাহী ওয়াসার পানি সরবরাহে ঘাটতি রয়েছে। এখানে ১৩ কোটি লিটার পানির চাহিদায় সাত কোটি লিটার সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে। তবে পদ্মা নদীর পানি শোধনের মাধ্যমে দৈনিক ২০ কোটি লিটার পানি সরবরাহ সম্ভব। পানি ব্যবস্থাপনায় রাজশাহী ওয়াসার প্রতিটি ওয়ার্ড কার্যালয়ে সিটিজেন চার্টার দেয়া হয়েছে। সচেতনতার লক্ষ্যে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।’

 

গওহার নঈম ওয়ারা বলেন, ‘আমাদের পানি ব্যবস্থাপনায় পানি অপচয় রোধ করতে হবে আগে। বৃষ্টির পানিকে গ্রাউন্ডে পাঠিয়ে কীভাবে রিসাইকেলের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা যায়, এ প্রক্রিয়ায় সবাইকে সম্পৃক্ত করতে হবে।’

 

স্বাগত বক্তব্যে কানিজ ফাতেমা বলেন, ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-৬ অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে নিরাপদ ও স্বল্প মূল্যের খাবার পানিতে সবার সর্বজনীন ও সমতাভিত্তিক প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে পানি ও পনোনিষ্কাশন খাতে শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সুপেয় পানি ব্যবস্থাপনাকে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিনিধিত্বমূলক করার লক্ষ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।’

পানি ও পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থাপনায় সুশাসনের জোর