ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ১০:৫৪:১৯ এএম

পুঁজিবাজার থেকে ১১ হাজার কোটি টাকা উধাও

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৯:৩১ এএম

পুঁজিবাজার থেকে ১১ হাজার কোটি টাকা উধাও

ছবি: সংগ্রহ

দেশের পুঁজিবাজারে কোনোভাবে সুখবর মিলছে না। এক দিন ঊর্ধ্বমুখী দেখা গেলে পরের টানা কয়েকদিন পতন দেখা যায়। দরপতনের এ খেলায় হতাশা দেখছেন বাজারে বিনিয়োগকারীরা। এরই মধ্যে গত সপ্তাহে পুঁজিবাজার থেকে ১১ হাজার কোটি টাকা গায়েব হয়ে গেছে।

 

বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি ব্যক্তিশ্রেণির বড় বিনিয়োগকারীদের অনেকে এখন বাজারে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। যার প্রভাব পড়েছে লেনদেন ও শেয়ারের দামে।

 

সম্প্রতি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) শেয়ার কারসাজির ঘটনায় বেশ কিছু কারসাজিকারককে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে আর্থিক জরিমানা করেছে। এতে বড় বড় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক ভর করেছে। এ কারণে ব্যক্তিশ্রেণির বড় বড় বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। তবে এটি সাময়িক।

 

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা কারসাজিকারকদের বড় অঙ্কের জরিমানা করার মাধ্যমে একধরনের বার্তা দিতে চাচ্ছে। যাতে কারসাজিকারকরা কোনো শেয়ার নিয়ে কারসাজির সাহস না পান। এতে কারসাজির ঘটনা কমলে তাতে দীর্ঘমেয়াদি ভালো বিনিয়োগকারীরা বাজারে বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন।

 

পুঁজিবাজার থেকে ১১ হাজার কোটি টাকা উধাও : বিদায়ি সপ্তাহে (০৮-১২ ডিসেম্বর) অব্যাহত দরপতনে দেশের পুঁজিবাজার থেকে ১১ হাজার কোটি টাকার বেশি গায়েব। পুরোটা সপ্তাহে বেশিরভাগ কার্যদিবসে দরপতন হওয়ায় আলোচ্য সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন কমেবোজার মূলধন কমেছে ১১ হাজার ২০৮ কোটি ৬২ লাখ ৪০ হাজার টাকা বা ১.৬৯ শতাংশ। একইসঙ্গে কমেছে লেনদেন অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর লেনদেন। এ ছাড়া সূচকের পাশাপাশি কমেছে টাকার অঙ্কে লেনদেনের পরিমাণ। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) বিদায়ি সপ্তাহে সূচকের পাশাপাশি টাকার অঙ্কে লেনদেন কমেছে।

 

সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৯১.৩৯ পয়েন্ট বা ১.৭৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১০৫.৪৩ পয়েন্টে।

 

অপর সূচকগুলোর মধ্যে- ডিএসই-৩০ সূচক ৩০.০২ পয়েন্ট বা ১.৫৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৮১.৯০ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ২৩.৯২ পয়েন্ট বা ২.০৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৪০.০৫ পয়েন্টে। এ ছাড়া ডিএসএমইএক্স সূচক ১৪.৯৩ পয়েন্ট বা ১.৩৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১১০.৮৯ পয়েন্টে। বিদায়ি সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯২টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৬টি, কমেছে ২৯৩টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টি প্রতিষ্ঠানের। বিদায়ি সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৬৪ কোটি ৬১ লাখ ৯০ হাজার শেয়ার ৫ লাখ ৭০ হাজার ২৭৫বার হাতবদল হয়। টাকার অঙ্কে যার বাজার মূল্য দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬১০ কোটি ৯২ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

 

আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ২১১ কোটি ৭৪ লাখ ৭০ হাজার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৬১০ কোটি ৮২ লাখ ১০ হাজার টাকা বা ২৭.৪৯ শতাংশ।

 

বিদায়ি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৭০৪ কোটি ৯৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৫২ হাজার ৪৯৬ কোটি ৩৫ লাখ ২০ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ১১ হাজার ২০৮ কোটি ৬২ লাখ ৪০ হাজার টাকা বা ১.৬৯ শতাংশ।

 

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ি সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৭৭.১০ পয়েন্ট বা ১.৯০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৩০৪.০০ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচক সিএসসিএক্স ১৬৯.২৮ পয়েন্ট বা ১.৯০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৭০২.০০ পয়েন্টে। অপর ২টি সূচকের মধ্যে সিএসই-৫০ সূচক ২৫.১ পয়েন্ট বা ২.২৬ শতাংশ এবং সিএসআই সূচক ১৬.০৩ পয়েন্ট বা ১.৭০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে- ১ হাজার ৮৩.৮৩ পয়েন্টে এবং ৯২৫.৩৮ পয়েন্টে।

 

এ ছাড়া সিএসই-৩০ সূচক ১৪৩.৭৭ পয়েন্ট বা ১.২০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৭৫৫.৯২ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩১৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৬৭টি, কমেছে ২১৩টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫টির। সপ্তাহটিতে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ২৬ কোটি ৯৬ লাখ ৫১ হাজার ৬৪৫ টাকার।

 

আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২৭ কোটি ৫২ লাখ ৪০ হাজার ৯৮৯ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ৫৫ লাখ ৮৯ হাজার ৩৪৩ টাকা বা ২.০৩ শতাংশ।

 

সাপ্তাহিক রিটার্নে ১৯ খাতে লোকসান : বিদায়ি সপ্তাহে সাপ্তাহিক রিটার্নে দর কমেছে ৯ খাতে। এর ফলে এই ১৯ খাতের বিনিয়োগকারীরা লোকসানে রয়েছে। একই সময়ে সাপ্তাহিক রিটার্নে বস্ত্র খাতে ০.৬০ শতাংশ দর বেড়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

 

জানা গেছে, আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে কাগজ ও প্রকাশনা খাতে। বিদায়ি সপ্তাহে এই খাতে দর কমেছে ৬.২০ শতাংশ। ৪.৪০ শতাংশ দর কমে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভ্রমণ ও অবকাশ খাত। একই সময়ে ৪.২০ শতাংশ দর কমে তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে মিউচুয়াল ফান্ড খাত, তথ্য প্রযুক্তি খাত এবং আর্থিক খাত।

 

লোকসান হওয়া অন্য খাতের মধ্যে-লাইফ ইন্স্যুরেন্স খাতে ৩.৯০ শতাংশ, সিরামিকস খাতে ৩.৬০ শতাংশ, পাট খাতে ৩.৩০ শতাংশ, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ০.০৩ শতাংশ, ব্যাংক খাতে ২.৭০ শতাংশ, সেবা ও আবাসন খাতে ২.১০ শতাংশ, সিমেন্ট খাতে ২.১০ শতাংশ, জেনারেল ইন্স্যুরেন্স খাতে ১.৯০ শতাংশ, ট্যানারি খাতে ১.৬০ শতাংশ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ০.০১ শতাংশ, বিবিধ খাতে ১.২০ শতাংশ, টেলিকমিউনিকেশন খাতে ১.১০ শতাংশ, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১.০০ শতাংশ এবং প্রকৌশল খাতে ১.০০ শতাংশ দর কমেছে।

 

ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে : আলোচ্য সময়ে ডিএসইর (ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ) পিই রেশিও (সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত) কমেছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় ডিএসইর পিই রেশিও ১.৫৩ শতাংশ বা দশমিক ০.০৭ পয়েন্ট কমেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

 

জানা গেছে, আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশিও ৯.২৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ৯.৪৪ পয়েন্ট।

 

খাতভিত্তিক হিসাবে পিই রেশিও বিশ্লেষণে দেখা যায়, ব্যাংক খাতে ৬.৫ পয়েন্ট, সিমেন্ট খাতে ১৪.৪ পয়েন্ট, সিরামিকস খাতে ৩২৬.৯ পয়েন্ট, প্রকৌশল খাতে ১৮.৫ পয়েন্ট, আর্থিক খাতে ৩১.৫ পয়েন্ট, খাদ্য খাতে ১৩.৮ পয়েন্ট, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৫.৭ পয়েন্ট, সাধারণ বিমা খাতে ১৩.২ পয়েন্ট, আইটি খাতে ১৯.৪ পয়েন্ট, পাট খাতে ৪৯.৫ পয়েন্ট, বিবিধ খাতে ৩১.৬ পয়েন্ট, মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ৫.৩ পয়েন্ট, কাগজ খাতে ৩৬.১ পয়েন্ট, ওষুধ খাতে ১১.৬ পয়েন্ট, সেবা-আবাসন খাতে ১০.৬ পয়েন্ট, ট্যানারি খাতে ২৭.৬ পয়েন্ট, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ৬৯.১ পয়েন্ট, টেলিকমিউনিকেশন খাতে ১২.৫ পয়েন্ট ও বস্ত্র খাতে ১৪.৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

 

আগের সপ্তাহে (০১-০৫ ডিসেম্বর) খাতভিত্তিক পিই রেশিও ছিল-ব্যাংক খাতে ৬.৭ পয়েন্ট, সিমেন্ট খাতে ১৪.৬ পয়েন্ট, সিরামিকস খাতে ৩৩৬.৭ পয়েন্ট, প্রকৌশল খাতে ১৮.৭ পয়েন্ট, আর্থিক খাতে ৩২.৬ পয়েন্ট, খাদ্য খাতে ১৪.২ পয়েন্ট, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৫.৮ পয়েন্ট, সাধারণ বিমা খাতে ১৩.৩ পয়েন্ট, আইটি খাতে ২০.২ পয়েন্ট, পাট খাতে ৫০.৯ পয়েন্ট, বিবিধ খাতে ৩১.৯ পয়েন্ট, মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ৫.৫ পয়েন্ট, কাগজ খাতে ৩৮.২ পয়েন্ট, ওষুধ খাতে ১১.৬ পয়েন্ট, সেবা-আবাসন খাতে ১০.৭ পয়েন্ট, ট্যানারি খাতে ২৭.৯ পয়েন্ট, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ৭১.১ পয়েন্ট, টেলিকমিউনিকেশন খাতে ১২.৬ পয়েন্ট ও বস্ত্র খাতে ১৩.৬ পয়েন্ট।

 

দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ শেয়ার : বিদায়ি সপ্তাহে (০৮-১২ ডিসেম্বর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নিয়েছে ৪১৩টি প্রতিষ্ঠান। এরমধ্যে ৭৬টির দর বেড়েছে, ২৯৩টির দর কমেছে, ২৩টির দর অপরিবর্তিত ছিল এবং ২১টির লেনদেন হয়নি। সপ্তাহটিতে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ২৭.৮৮ শতাংশ। ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এই তথ্য জানা গেছে।

 

সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে এইচ.আর. টেক্সটাইলের ১৭.২৩ শতাংশ, অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেনের ১৭.০৫ শতাংশ, সাইহাম কটনের ১৫.২৮ শতাংশ, মেট্রো স্পিনিংয়ের ১৫.০০ শতাংশ, সোনারগাঁও টেক্সটাইলের ১৩.৫৪ শতাংশ, হামি ইন্ডাস্ট্রিজের ১২.৫২ শতাংশ, লুব-রেফ বাংলাদেশের ১১.৭৬ শতাংশ, সাইহাম টেক্সটাইলের ৯.১৫ শতাংশ এবং আমরা টেকনোলজিসের ৮.৬২ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে।

 

ব্লক মার্কেটে সর্বোচ্চ লেনদেন ১০ কোম্পানির : বিদায়ি সপ্তাহে (০৮-১২ ডিসেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ১০ কোম্পানির।

 

কোম্পানিগুলো হলো-ওরিয়ন ইনফিউশন, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ফাইন ফুডস, লাভেলো আইস্ক্রিম, রিলায়েন্স ওয়ান, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, আইডিএলসি, জিপিএইচ ইস্পাত এবং বিচ হ্যাচারি। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে ব্লক মার্কেটে এই ১০ কোম্পানির মোট ১০৫ কোটি ১৮ লাখ ১০ হাজার টাকা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

 

জানা গেছে, কোম্পানিগুলোর মধ্যে ব্লক মার্কেটে ওরিয়ন ইনফিউশনের সবচেয়ে বেশি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সপ্তাহজুড়ে ব্লক মার্কেটে কোম্পানিটির ৬৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। বিদায়ি সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ৩২০ টাকা ২০ পয়সা।

 

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মিউচুয়াল টাস্ট ব্যাংকের ১৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। বিদায়ি সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ১২ টাকা।

 

তৃতীয় সর্বোচ্চ আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের ৪ কোটি ২৭ লাখ ৩০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। বিদায়ি সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ১৯ টাকা ৩০ পয়সা। সপ্তাহজুড়ে ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া অন্য ৭টি কোম্পানির মধ্যে-বিচ হ্যাচারির ৪ কোটি ২৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা, লাভেলো আইসক্রিমের ৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা, রিলায়েন্স ওয়ানের ২ কোটি ৭৩ লাখ ১০ হাজার টাকা, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ২ কোটি ৩৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা, আইডিএলসির ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা, জিপিএইচ ইস্পাতের ১ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং বিচ হ্যাচারির ১ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

 

লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকা : বিদায়ি সপ্তাহে (০৮-১২ ডিসেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক লেনদেনে শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। আলোচ্য সপ্তাহে লেনদেন তালিকার শীর্ষস্থান দখল করেছে ওরিয়ন ইনফিউশন। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ১১১ কোটি ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৬.৮৯ শতাংশ।

 

সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ২২ কোটি ২১ লাখ ১০ হাজার টাকার। বিদায়ি সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ৩২০ টাকা ২০ পয়সা।

 

লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ড্রাগন সোয়েটার। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৪১ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ২.৬০ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি ৩৬ লাখ ৬০ হাজার টাকার। বিদায়ি সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ১২ টাকা ১০ পযসায়। সাপ্তাহিক লেনদেন তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে-এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ।সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৩৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ২.৩৮ শতাংশ।

 

সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার। বিদায়ি সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ৩৫ টাকা ২০ পয়সায়।

 

এ ছাড়া সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে-লাভেলো আইসক্রিমের ৩৬ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, সায়হাম কটনের ৩৫ কোটি ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা, এনআরবি ব্যাংকের ৩৪ কোটি ২৩ লাখ টাকা, বেক্সিমকো ফার্মার ৩২ কোটি ৬২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, বিএসসির ২৫ কোটি ৩৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা, জেনেক্স ইনফোসিসের ২৫ কোটি ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং স্কয়ার ফার্মার ২৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

 

দর পতনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকা : বিদায়ি সপ্তাহে (০৮-১২ ডিসেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এই তথ্য জানা গেছে।

 

আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের। সপ্তাহজুড়ে প্রতিষ্ঠানটির দর কমেছে ২৩.৮২ শতাংশ। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ৪৪ টাকা ৫০ পয়সা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৩ টাকা ৯০ পয়সা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে ১০ টাকা ৬০ পয়সা। সাপ্তাহিক দরপতন বা লুজার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা খান ব্রাদার্সের শেয়ার দর কমেছে ১৩.১২ শতাংশ।

 

আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ১৪৪ টাকা ৮০ পয়সা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২৫ টাকা ৮০ পয়সায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে ১৯ টাকা। ১১.৭১ শতাংশ দর কমে সাপ্তাহিক লুজার তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইস্টার্ন লুবরিক্যান্টস।

 

আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ১ হাজার ৪৭৬ টাকা ১০ পয়সা। গত সপ্তাহের শেস কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩০৩ টাকা ৩০ পয়সায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে ১৭২ টাকা ৮০ পয়সা।

 

সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে-ইসলামী ব্যাংকের ১১.৪৬ শতাংশ, অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের ১১.০০ শতাংশ, জেমিনি সি ফুডসের ১০.৩৭ শতাংশ, ফাইন ফুডসের ১০.২৭ শতাংশ, মিডল্যান্ড ব্যাংকের ৯.৬১ শতাংশ, জেনেক্স ইনফোসিসের ৯.৪৬ শতাংশ এবং মনোস্পুলের ৯.০১ শতাংশ দর কমেছে।

পুঁজিবাজার থেকে ১১ হাজার কোটি টাকা উধাও