ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৯:৩০:০৭ পিএম

ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক

২৯ অক্টোবর, ২০২৪ | ৮:৪৪ এএম

অনলাইন সংস্করণ

পোশাক খাতে নারী শ্রমিকের হার ৫৫ শতাংশের নিচে নেমে গেছে

২৯ অক্টোবর, ২০২৪ | ৮:৪৪ এএম

পোশাক খাতে নারী শ্রমিকের হার ৫৫ শতাংশের নিচে নেমে গেছে

ছবি: সংগ্রহীত

দেশের শ্রমবাজারে বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতে নারী শ্রমিকের সংখ্যা ক্রমেই কমছে। সাম্প্রতিক কালে এ হার ৫৫ শতাংশের নিচে নেমে গেছে, যা নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নকে প্রভাবিত করছে। রাজধানীর হোটেল র‍্যাডিসন ব্লুতে গতকাল অনুষ্ঠিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এ তথ্য উঠে এসেছে। এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইউএসএআইডি উইমেন থ্রাইভ ইন বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক মানবিক সাহায্য সংস্থা কেয়ার বাংলাদেশ। বক্তারা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের স্বার্থে রফতানি আয়ের শীর্ষে থাকা তৈরি পোশাক খাতে নারীবান্ধব কর্মপরিবেশ নিশ্চিতের আহ্বান জানান। বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।


বক্তারা জানান, দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের স্বার্থে, রফতানি আয়ের শীর্ষে থাকা পোশাক খাতে নারী শ্রমিকদের জন্য সহায়ক কাজের পরিবেশ তৈরিতে গুরুত্ব দিতে হবে। বাংলাদেশের রফতানি আয়ের প্রায় ৮০ শতাংশ আসে এ খাত থেকে। চার দশকেরও বেশি সময় ধরে খাতটি নারীর কর্মসংস্থানের বিরাট সুযোগ সৃষ্টি করেছে, যা সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। এক সময় এ খাতে কর্মরতদের সিংহভাগই ছিল নারী। কিন্তু কম মজুরি, দীর্ঘ কর্মঘণ্টা, উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের চাপ, স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রপাতি চালানোর দক্ষতার ঘাটতি, কর্মক্ষেত্রে হয়রানি ও নিপীড়ন, সন্তান লালন-পালন, গৃহস্থালি কাজের চাপ সামলাতে গিয়ে তৈরি পোশাক খাতে নারী শ্রমিকের সংখ্যা দিন দিন কমছে।


বৈঠকে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘নারী শ্রমিকদের সামাজিক মর্যাদার জায়গাটা আরো বিস্তৃত করতে হবে। এটি করতে পারলে কর্মক্ষেত্র বা তৈরি পোশাক খাতে নারীর অংশগ্রহণ আরো বাড়বে। অন্যদিকে যে পরিমাণ স্বাস্থ্যসেবা আমাদের শ্রমিকদের জন্য থাকা উচিত সে পরিমাণ নেই, এ জায়গাতেও কাজ করা উচিত।’

সভায় পোশাক খাতে নারীবান্ধব কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে নারী উন্নয়ন নীতি, জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল, জাতীয় কর্মসংস্থান নীতিসহ সংশ্লিষ্ট নীতি কাঠামোতে নারীদের অধিকার এবং সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা, কর্মক্ষেত্রে সহিংসতার বিরুদ্ধে আইএলও কনভেনশন ১৯০ অনুসমর্থন, কর্মক্ষেত্রে সমতা নিশ্চিত করা এবং দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য নারী কর্মীদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ কোর্স চালুর সুপারিশ করা হয়।

কেয়ার এশিয়া অঞ্চলের প্রধান রমেশ সিংয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইউএস এইডের ডেমোক্রেসি, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড গভর্ন্যান্স অফিসের উপপরিচালক ব্লেয়ার কিং।

ইউএসএআইডি উইমেন থ্রাইভ ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের চিফ অব পার্টি আমানুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পিভিএইচ করপোরেশনের করপোরেট রেসপন্সিবিলিটি ম্যানেজার বুশরা বিনতে বাতেন, শ্রম অধিদপ্তরের পরিচালক এসএম এনামুল হক, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের যুগ্ম মহাপরিদর্শক মতিউর রহমান।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউএসএআইডির লেবার অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস কর্মসূচির প্রকল্প ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ ইমেলদা মল্লিক, কেয়ার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর-প্রোগ্রাম মোহাম্মদ মেহরুল ইসলাম, দেশ গ্রুপ অব কোম্পানিজের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক বিদ্যা অমৃত খান, শ্রমিক অধিকার সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) নির্বাহী পরিচালক, সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ এবং বিল্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস আরা বেগম।

পোশাক খাতে নারী শ্রমিকের হার ৫৫ শতাংশের নিচে নেমে গেছে