ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
২৯ অক্টোবর, ২০২৪ | ১১:২০ এএম
অনলাইন সংস্করণ
পোশাক রফতানিতে আয় কমেছে
২৯ অক্টোবর, ২০২৪ | ১১:২০ এএম
ছবি: সংগ্রহ
২০২৪ সালের এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানি আয় আগের প্রান্তিকের তুলনায় কমেছে। নিটওয়্যার রফতানি এগিয়ে থাকলেও মোট রফতানি এবং নিট রফতানি উভয় ক্ষেত্রেই হ্রাস পেয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি প্রধান বাজারে রফতানি বাড়লেও মোট রফতানিতে হ্রাস পাওয়ার পেছনে বিভিন্ন কারণ কাজ করতে পারে। সরকার রফতানিকারকদের বিভিন্ন সুবিধা দিলেও রফতানি আয় বাড়াতে আরো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
চলতি বছরের (২০২৪) এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে তৈরি পোশাক খাতে রফতানি আয় দাঁড়িয়েছে ৮৮৩ কোটি ৭১ লাখ মার্কিন ডলার। আগের প্রান্তিকে অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়ে তৈরি পোশাক খাতে রফতানি আয় এসেছে ৯৭৩ কোটি ২০ লাখ ডলার। আলোচ্য সময়ের ব্যবধানে রফতানি আয় কমেছে ৮৯ কোটি ৪৮ লাখ ডলার।
চলতি অর্থবছরের এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে তৈরি পোশাক রফতানি থেকে যে আয় দেশে এসেছে, এর মধ্যে নিটওয়্যার এগিয়ে আছে। আলোচ্য সময়ে নিটওয়্যার থেকে রফতানি আয় এসেছে ৪৭৪ কোটি ৭৯ লাখ ডলার। অপরদিকে, ওভেন থেকে রফতানি আয় এসেছে ৪০৮ কোটি ৯১ লাখ ডলার। সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
চলতি অর্থবছরের এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে বাংলাদেশ থেকে যেসব দেশে তৈরি পোশাক রফতানি করা হয়েছে, সেসব দেশের শীর্ষে আছে: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, স্পেন, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, ইতালি, কানাডা এবং বেলজিয়াম। এই নয় দেশে পোশাক রফতানি করে বাংলাদেশ আয় করেছে ৬৩৫ কোটি ৯৭ লাখ মার্কিন ডলার। যা মোট পোশাক রফতানি আয়ের ৯১ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তৈরি পোশাক খাতের রফতানির আয় বাড়াতে সরকার নানা সুবিধা দিয়ে আসছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রি-শিপমেন্ট ক্রেডিট সুবিধা। করোনা-পরবর্তী সময়ে রফতানি ঋণ সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৫ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করে। এ তহবিল থেকে তৈরি পোশাক রফতানিকারকদের জন্য ঋণ সুবিধাসহ সুদহার সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখা হয়েছে, যা ২০২৭ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
রফতানিকারকদের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৫ হাজার কোটি টাকার গ্রিন ট্রান্সফরমেশন ফান্ড রয়েছে, যা থেকে রফতানিমুখি প্রতিষ্ঠানগুলো ক্যাপিটাল মেশিনারিজ আমদানির জন্য অর্থায়ন করে। এছাড়াও আছে ১০ হাজার কোটি টাকার এক্সপোর্ট ফ্যাসিলিটেশন ফান্ড এবং এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ড। এসব সুযোগ-সুবিধা নিয়ে দেশের তৈরি পোশাক খাত দিন দিন রফতানি আয়ের ক্ষেত্রে শক্তিশালী খাত হিসেবে গড়ে উঠেছে। এর মধ্যেই চলতি অর্থবছরের এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে আগের প্রান্তিকের চেয়ে তৈরি পোশাক খাতে রফতানি আয় কমেছে।