ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১০:২০ এএম
অনলাইন সংস্করণ
পোশাক শিল্পের রপ্তানির ক্রয়াদেশ বেড়েছে
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১০:২০ এএম
![পোশাক শিল্পের রপ্তানির ক্রয়াদেশ বেড়েছে](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/12/18/20241218100057_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহ
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প আন্তর্জাতিক বাজারে অর্ডারের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা প্রত্যক্ষ করছে। যুদ্ধ ও উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রভাব কাটিয়ে আগামী বসন্ত ও গ্রীষ্ম মৌসুমের জন্য ক্রয়াদেশ বাড়ার পাশাপাশি চীন থেকে ক্রয়াদেশ স্থানান্তরিত হওয়ায় উদ্যোক্তারা আশাবাদী। এমনকি পরবর্তী শরৎ ও শীত মৌসুমেও ভালো অর্ডার আসার প্রত্যাশা করছেন তারা।
পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের (জুলাই-নভেম্বর) প্রথম পাঁচ মাসে কাঁচামালের আমদানি প্রাপ্যতা বা ইউটিলাইজেশন ডিক্লারেশন (ইউডি) ১৯ শতাংশ বেড়েছে। গত অর্থবছরে এই সময়ের মধ্যে ১,০৭০ কোটি ডলারের ইউডি ইস্যু হয়েছিল, যা এই অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,২৭৫ কোটি ডলার।
অক্টোবর-নভেম্বরে ইস্যু হয়েছে ৪৯৭ কোটি ডলারের ইউডি, যা বিপুল পরিমাণ ক্রয়াদেশ বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়।
ধামরাইয়ের পরিবেশবান্ধব কিউট ড্রেস ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ এইচ এম মোস্তাফিজ জানিয়েছেন, প্রচুর ক্রয়াদেশ থাকায় তাদের প্রতিষ্ঠানে আগামী মৌসুমে ১৫-২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে তিনি আশা করছেন।
তবে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। গাজীপুর ও সাভারের আশুলিয়ায় শ্রমিক বিক্ষোভ ও অসন্তোষের কারণে কিছু কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে।
সেপ্টেম্বর মাসে শ্রমিকদের বিক্ষোভের পর মালিক-শ্রমিক পক্ষের মধ্যে ১৮ দফা সমঝোতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তবে অক্টোবর-নভেম্বরে বকেয়া বেতন ও মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে গাজীপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিক অসন্তোষ ঘটে। বেক্সিমকোর শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ ও একটি কারখানায় অগ্নিসংযোগও করে।
ডিসেম্বর মাসে শ্রমিকদের বার্ষিক মজুরি বৃদ্ধি ও নিম্নতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন চলছে।
ডেনিম এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেছেন, ক্রয়াদেশের সংখ্যা বাড়লেও রপ্তানি আয় তেমন বৃদ্ধি পাবে না। কারণ, উৎপাদন খরচ বাড়লেও বেশিরভাগ বিদেশী ক্রেতা প্রতিষ্ঠান পোশাকের দাম কমাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, একের পর এক শ্রম অসন্তোষের কারণে বিদেশি ক্রেতারা উদ্বিগ্ন ও বিরক্ত। চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধ এবং যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি শুল্ক বাড়ানোর পরিকল্পনার ফলে ক্রয়াদেশ চীন থেকে সরিয়ে বাংলাদেশে আনার প্রবণতা বাড়ছে।
স্প্যারো গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শোভন ইসলাম জানিয়েছেন, চীন থেকে ক্রয়াদেশ স্থানান্তরিত হওয়া এবং বন্ধ হয়ে যাওয়া কিছু বড় কারখানার অর্ডার তাদের কারখানায় স্থানান্তরিত হয়েছে।
বাংলাদেশের পোশাকশিল্পে ক্রয়াদেশ বৃদ্ধি দেশের অর্থনীতির জন্য ভালো খবর। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়ন এবং শ্রম অসন্তোষ নিরসন জরুরি। পাশাপাশি উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি ও কম দাম অফারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
![পোশাক শিল্পের রপ্তানির ক্রয়াদেশ বেড়েছে](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)