ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১১:৩১ এএম
অনলাইন সংস্করণ
ফল আমদানিতে কর কমানোর সুপারিশ ট্যারিফ কমিশনের
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১১:৩১ এএম

ছবি: সংগ্রহ
তাজা ফল আমদানিতে শুল্ককর কমানোর জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)কে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিএসটিসি)। কমিশন বলছে, ফল অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হওয়ায়, এর আমদানিতে শুল্ককর বিশেষ করে স্থানীয় পর্যায়ের অগ্রিম ভ্যাট ৫ শতাংশ প্রত্যাহার করা উচিত। একই সঙ্গে, অগ্রিম আয়কর (এআইটি) ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা যেতে পারে।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ফল আমদানিতে শুল্ককর কমানোর জন্য ফল আমদানিকারকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন সার্বিক দিক পর্যালোচনা করে এই সুপারিশ করেছে। চিঠিতে কমিশন উল্লেখ করেছে, দেশে ফলের চাহিদার সিংহভাগই আমদানি করে পূরণ হয়, তবে গত কয়েক বছর ধরে ডলারের দাম বৃদ্ধি ও শুল্ককর বৃদ্ধির কারণে ফলের দাম বেড়ে গেছে। এতে ফল আমদানির পরিমাণও উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে।
২০২১-২২ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আমদানির চিত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ফলের আমদানি বেশ কমে গেছে। উদাহরণস্বরূপ, আপেল আমদানি ৫২%, মালটা ৭১%, আঙুর ২৯% এবং মেন্ডারিন আমদানি ৫১% কমেছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ২০২৩ সালের জানুয়ারির তুলনায় ফলের আমদানি আরও কমেছে।
বর্তমানে ফল আমদানিতে মোট শুল্কভার ১৩৬ দশমিক ২০ শতাংশ, যা ভোক্তার জন্য অসহনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কমিশন মনে করছে, উচ্চ শুল্কের কারণে বৈধ পথে আমদানি কমে গিয়ে অবৈধ পথে বৃদ্ধি পাবে এবং ব্যবসায়ীরা ফলের ওপর অতিরিক্ত কেমিক্যাল ব্যবহার করবে, যা ভোক্তার জন্য ক্ষতিকর।
তাছাড়া, ফল আমদানির পর কোনো প্রক্রিয়াজাত (মূল্য সংযোজন) করা না হওয়ায় স্থানীয় পর্যায়ের অগ্রিম ভ্যাট ৫ শতাংশ আরোপ করা সমীচীন নয়। এতে ব্যবসায়ীদের রিফান্ড নিতে সমস্যা ও আর্থিক চাপ সৃষ্টি হয়। কমিশন মনে করছে, খাদ্যপণ্য হিসেবে এই শুল্ক অব্যাহতি দেওয়া উচিত।
কমিশনের পর্যালোচনায় আরও বলা হয়েছে, ১০ শতাংশ এআইটি আরোপের কারণে ব্যবসায়ীদের অস্বাভাবিক মুনাফা দেখাতে হয়, যা বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় এবং কালো টাকা সাদা করার সুযোগ তৈরি করতে পারে। তাই, এআইটি ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, ফলের ওপর আরোপিত অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার বা যৌক্তিক করার সুপারিশও করেছে বিএসটিসি।
- ট্যাগ সমূহঃ
- ফল আমদানিতে
- কর
- কমানোর
- সুপারিশ
- ট্যারিফ কমিশনের
