ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ১১:৫১:৪৪ এএম

ফল বাজারে অস্থিরতা, শুল্ক বৃদ্ধি ও দাম বাড়ানোর ফলে সংকট

২৬ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১১:১২ এএম

ফল বাজারে অস্থিরতা, শুল্ক বৃদ্ধি ও দাম বাড়ানোর ফলে সংকট

ছবি: সংগ্রহ

বাংলাদেশে ফলের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রতি ফল আমদানিতে শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করেছে, যার প্রভাব পড়েছে বাজারে। ১৫ দিনের মধ্যে বিদেশি ফলের দাম পাইকারি এবং খুচরা পর্যায়ে কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এর ফলে অনেক ক্রেতাই বিদেশি ফল কিনতে আগ্রহী হচ্ছেন না, ফলে বিক্রি অনেকটা কমে গেছে।

 

 

ক্রেতারা বলছেন, দাম বেড়ে যাওয়ায় আপেল, কমলা, মাল্টা, আঙুরের মতো ফল কিনতে তাদের আগের মতো খরচ করা সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে, আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, শুল্ক বাড়ানোর ফলে আমদানির ব্যয় বেড়ে গেছে, যার কারণে দাম বাড়ানো ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।

 

 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুল্ক বৃদ্ধির ফলে ফলের বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানান, পচনশীল পণ্য হওয়ায় ফলের মজুত নিয়ে তারা বিপাকে পড়েছেন এবং অনেক ব্যবসায়ী আমদানি বন্ধ করে দিয়েছেন। এর ফলে, আগামী রমজান মাসে ফলের সরবরাহ কমে যেতে পারে।

 

 

কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে যে, রমজান মাস শেষ না হওয়া পর্যন্ত নতুন শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত স্থগিত করা উচিত, যাতে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের পরিবারগুলোর জন্য ফলের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকে।

 

 

শুল্ক বাড়ানোর ফলে প্রতি কেজি আপেল, কমলা, মাল্টা ও আঙুরের দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে গেছে। পাইকারি বাজারে, ফুজি জাতের আপেল, আঙুর ও কমলার দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ফলের দাম বাড়ানোর পর, ব্যবসায়ীরা বলছেন যে, তাদের বিক্রি প্রায় অর্ধেক হয়ে গেছে এবং নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর জন্য ফল কেনা কঠিন হয়ে পড়েছে।

 

 

বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেছেন, এটি গরিব মানুষদের জন্য বড় সমস্যা তৈরি করবে। তিনি শুল্ক কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন, অন্যথায় ব্যবসায়ীরা আমদানি থেকে বিরত থাকতে পারেন।

 

 

এদিকে, এনবিআর জানিয়েছে যে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিদেশি ফল আমদানির পরিমাণ ১০ হাজার টন কমেছে। শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্তের ফলে ফলের আমদানিতে মারাত্মক প্রভাব পড়েছে এবং ব্যবসায়ীরা বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

 

 

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই অবস্থায় সরকারের উচিত অবিলম্বে শুল্ক বৃদ্ধি পর্যালোচনা করা, বিশেষ করে রমজান মাসের আগে, যাতে দেশের সাধারণ মানুষ ফলের ভোগ্যতা বজায় রাখতে পারেন।

ফল বাজারে অস্থিরতা, শুল্ক বৃদ্ধি ও দাম বাড়ানোর ফলে সংকট