জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানগুলোতে দান বা অনুদান প্রদানের বিপরীতে আয়কর রেয়াত সুবিধা বাতিল করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

আরও পড়ুন

সন্ধ্যা থেকে বন্ধ হচ্ছে বঙ্গবন্ধু টানেল

এনবিআরের সম্প্রতি নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আয়কর আইনের ৬ষ্ঠ তফসিলের ৩ নম্বর অংশের অনুচ্ছেদ ২ এর দফা ১৫ বাতিল করা হয়েছে। এই দফায় বলা হয়েছিল, জাতির পিতার স্মরণে প্রতিষ্ঠিত কোনো জাতীয় পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানে কোনো করদাতা কর্তৃক অনুদান দেওয়ার পরিমাণ কর রেয়াতের আওতায় আসবে।

গত ৯ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) প্রজ্ঞাপন ইস্যু করার পর ১২ জানুয়ারি, রোববার এনবিআরের আয়কর বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এই সিদ্ধান্তের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর ফলে, এখন থেকে বঙ্গবন্ধুর নামে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় প্রতিষ্ঠানে দান বা অনুদান দিলে আয়কর রেয়াত সুবিধা পাওয়া যাবে না।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের শাসনামলে বঙ্গবন্ধুর নামে বহু জাতীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছিল। এসব প্রতিষ্ঠানে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতারা দান বা অনুদান দিলে আয়কর রেয়াত সুবিধা পেতেন। ২০২৩ সালের আয়কর আইনের ৭৬ ও ৭৮ ধারা অনুযায়ী ২০টি খাতে বিনিয়োগ এবং দান করলে করদাতারা আয়কর রেয়াত পেতে পারতেন।

এনবিআরের এই নতুন সিদ্ধান্তের ফলে, 'জাতির পিতার স্মরণে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় প্রতিষ্ঠান'গুলোর জন্য আগের আয়কর রেয়াত সুবিধা আর কার্যকর থাকবে না।

এদিকে, গত ১৬ অক্টোবর তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম জানিয়েছিলেন, অন্তর্বর্তী সরকার শেখ মুজিবুর রহমানকে 'জাতির পিতা' হিসেবে মেনে নেয় না। একইদিনে অন্তর্বর্তী সরকার ঐতিহাসিক ৭ মার্চ এবং ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসসহ আটটি জাতীয় দিবস বাতিল করার পরিপত্রও জারি করেছিল।

এর আগে, গত ১১ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির বাসভবন বঙ্গভবনের দরবার হল থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি নামিয়ে ফেলার কথা জানান উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।