বঙ্গোপসাগর অঞ্চলকে সহযোগিতা ও প্রতিযোগিতার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ, এমন মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

আরও পড়ুন

বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ ছারাও তিন দেশর আলাদা আলাদা স্বার্থ রয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

আজ রবিবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) আয়োজিত একটি সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, "বঙ্গোপসাগর যেন সহযোগিতার কেন্দ্র হয়, আমাদের সেই চেষ্টা চলছে, যাতে এখানে কোনো দ্বন্দ্ব-সংঘাতের সৃষ্টি না হয়।"

সেমিনারের থিম ছিল ‘বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে পুনরায় সংযোগ’, যা বিআইআইএসএস ও ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপিং ইকোনমিকস (আইডিই-জেট্রো) যৌথভাবে আয়োজন করে।

বঙ্গোপসাগর অঞ্চল বর্তমানে অর্থনীতি ও ভূ-কৌশলগত দিক থেকে আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, যা আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক বড় শক্তির নজর আকর্ষণ করেছে, এমন মন্তব্য করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি আরও বলেন, "এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করা জরুরি। গত সাত বছর ধরে মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অবস্থান করছে, এবং তাদের অধিকারসহ নিরাপদ প্রত্যাবাসন না হলে এই অঞ্চলের শান্তি বিঘ্নিত হবে।"

বঙ্গোপসাগর এলাকার উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা অর্জনে সমস্ত অংশীজনকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, "নিরাপদ ও সমৃদ্ধ বঙ্গোপসাগর এলাকা গড়ে তোলার জন্য স্থিতিশীলতা অপরিহার্য।"

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত আইওয়ামা কিমিনিরো। তিনি বলেন, "মাতারবাড়ী বন্দর দিয়ে এই অঞ্চলে কানেক্টিভিটি আরও জোরদার হবে। বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও বোঝাপড়া থাকতে হবে, বিশেষত বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে।"

এছাড়া, সেমিনারের উদ্বোধনী পর্বে বিআইআইএসএসের চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত এ এফএম গাওসুল আজম সরকার এবং মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ইফতেখার আনিস স্বাগত বক্তব্য দেন।