ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ | ১২:৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
এ সম্পর্কিত আরো খবর
বাংলাদেশি পর্যটক নেই কলকাতা-দার্জিলিংয়ে, মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ | ১২:৭ পিএম

ছবি: সংগ্রহ
পশ্চিমবঙ্গের শৈল শহর দার্জিলিং, যেখানে সারা বছরই বাংলাদেশি পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে, সেখানে দীপাবলির উৎসবের সময়ও পর্যটকদের দেখা নেই। শিলিগুড়ির ফুলবাড়ি এবং কোচবিহার চ্যাংড়াবান্ধা চেকপোস্টের মাধ্যমে বাংলাদেশি পর্যটকরা সহজেই দার্জিলিংয়ে আসতে পারলেও, বর্তমানে এ অঞ্চলে পর্যটকদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।
হোটেল ব্যবসায়ীরা জানান, সেপ্টেম্বর থেকেই বাংলাদেশি পর্যটকরা কলকাতায় আসা বন্ধ করে দিয়েছেন। তারা জানান, বর্তমানে কলকাতায় যারা অবস্থান করছেন, তারা মূলত চিকিৎসার জন্য এসেছেন এবং তাদের পুরোনো ভিসা রয়েছে। ফলে, ট্রাভেল ব্যবসায়ীরা মারাত্মক লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছেন।
মারক্যুইস স্ট্রিটের এমারেল্ড হোটেলের মালিক মনোতোষ জানান, হোটেলের কার্যক্রম চালানোর জন্য প্রতিমাসে আড়াই থেকে তিন লাখ রুপি খরচ হয়, যা বর্তমানে তাদের পকেট থেকেই দিতে হচ্ছে। একইভাবে, 'রাঁধুনি' ভাতের হোটেলের ম্যানেজার উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে, বাংলাদেশিদের অভাবে কর্মচারীদের বেতন দেওয়া সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বর্তমানে কলকাতার নিউমার্কেটে প্রায় দুই হাজার হোটেল এবং দুইশোর মতো মানি এক্সচেঞ্জ রয়েছে, যেখানে বাংলাদেশি পর্যটকদের ওপর অর্থনীতি নির্ভর করে। কিন্তু বর্তমানে সেখানে মাত্র এক হাজার ৫০০ থেকে এক হাজার ৬০০ বাংলাদেশি রয়েছেন।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার পর পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হলেও, ভারতীয় হাইকমিশন এখনও ভিসা দেওয়ার প্রক্রিয়া পুরোপুরি চালু করেনি। জরুরি অবস্থাতেই কেবল বাংলাদেশিরা ভারতে আসার অনুমতি পাচ্ছেন।
উত্তরবঙ্গের ট্যুরিজম ব্যবসায়ী অমিত চক্রবর্তী জানান, দুই মাস ধরে বাংলাদেশি পর্যটকরা আসছেন না। আগের বছর তাদের এজেন্সিতে ভিড় ছিল, কিন্তু বর্তমানে বুকিং আসা বন্ধ হয়ে গেছে।
এছাড়া, ডুয়ার্স এলাকায় ২০০ টিরও বেশি ছোট-বড় রিসোর্ট এবং শতাধিক হোম-স্টে রয়েছে, যেখানে সাধারণত বাংলাদেশি পর্যটকরা শীতের সময় ভ্রমণ করেন। কিন্তু বর্তমানে সেখানে বাংলাদেশি পর্যটকদের অভাব দেখা দিয়েছে, যা স্থানীয় দোকানগুলোতেও প্রভাব ফেলছে।
এদিকে, দার্জিলিংয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে আগ্রহী বাংলাদেশি পর্যটকদের অনুপস্থিতি স্থানীয় অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে।
