ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ১০:৫৬:৪৮ পিএম

বাংলাদেশের আকাশে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স

৩ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯:২ পিএম

বাংলাদেশের আকাশে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স

ছবি: সংগ্রহ

আদ্দিস আবাবা ও ঢাকার পথে ফ্লাইট পরিচালনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করল ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স। আর এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনা করা এয়ারলাইন্সের সংখ্যা বেড়ে হল ৪০টি।

 

আদ্দিস আবাবা থেকে ছেড়ে আসা ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজটি রোববার সকাল সাড়ে ৮টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের রানওয়ে স্পর্শ করে।

 

 

উদ্বোধনী ফ্লাইটের যাত্রীদের মধ্যে ইথিওপিয়ার সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের প্রধানসহ বিভিন্ন পদবির সরকারি কর্মকর্তারাছিলেন। তাদের স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

 

পরে বিমান বন্দরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কথা বলেন দুই দেশের কর্মকর্তারা। ফিতা ও কেক কেটে প্রথম ফ্লাইটের উদযাপন করা হয় ওই অনুষ্ঠানে।

বাংলাদেশের সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মনজুর কবির ভূঁইয়া বলেন, “ইথিওপিয়াকে বলা হয় আফ্রিকার প্রবেশদ্বার। এই অপারেটরটি বাংলাদেশি যাত্রীদের আফ্রিকার বিভিন্ন গন্তব্যসহ ইউরোপ-আমেরিকাকেও কানেক্ট করবে।

 

“আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে প্রচুর বাংলাদেশি কাজ ও ব্যবসা করেন। ইথিওপিয়া এয়ারলাইন্সে দেশে তারা আসা-যাওয়ার সুবিধা পাবেন। পাশাপাশি আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে জাতিসংঘ শান্তি মিশনে কর্মরত বাংলাদেশের সদস্যরা ছুটিতে দেশে আসার ক্ষেত্রে যে জটিলতায় পড়তেন, এর মাধ্যমে তা অনেকখানি দূর হবে। আফ্রিকা থেকে ঢাকায় আসার খরচও অনেক কমবে।”

 

ইথিওপিয়ার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন দেশটির সিভিল এভিয়েশন অথরিটির মহাপরিচালক গেটাচিউ মেনগিস্টি আলেমায়েহু এবং ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স গ্রুপের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার লেম্মা ইয়াদেচার।

 

অনুষ্ঠানে গেটাচিউ মেনগিস্টি আলেমায়েহু বলেন, “এই ফ্লাইট বাংলাদেশ ও ইথিওপিয়ার মধ্যে কেবল সরাসরি সংযোগই নয়, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার মূল গন্তব্যগুলোকেও সংযুক্ত করবে।”

 

সাধারণত কোন দেশের এয়ারলাইন্স আরেকটি দেশে অপারেট করা শুরু করলে সেই গন্তব্য দেশটির এয়ারলাইন্সকেও ওই দেশে অপারেট করার সুযোগ দেওয়া হয়। বাংলাদেশের কোনো এয়ারলাইন্স ইথিওপিয়ায় ফ্লাইট চালাতে আবেদন করেছে কি না জানতে চাইলে সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান বলেন, “কেউ আবেদন করলে আমরা সেটা অবশ্যই বিবেচনার জন্য যথাযথ মাধ্যমে পাঠাবো।”

 

চেয়ারম্যান মনজুর কবির ভুঁইয়া বলেন, “বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে বছরে ১২ থেকে ১৩ মিলিয়ন যাত্রী বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করে। জরিপ বলছে, আগামী ২০৩৫ সাল নাগাদ যাত্রীদের এই সংখ্যা ২৬ মিলিয়নে গিয়ে ঠেকবে। সেভাবে আমরা তৃতীয় টার্মিনাল প্রস্তুত করছি।”

 

আপাতত ঢাকা থেকে সপ্তাহে পাঁচটি ফ্লাইট অপারেট করবে ইথিওপিয়া। প্রতি রবি, মঙ্গল এবং বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাবে। এছাড়া অতিরিক্ত দুটি ফ্লাইট প্রতি সোমবার এবং শুক্রবার সকালে ঢাকা ছাড়বে।

বিমানবন্দরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন দেশের সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের সদস্য (অপারেশনস ও পরিকল্পনা) এয়ার কমোডর আবু সাঈদ মাহবুব খান, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম এবং বাংলাদেশে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের জেনারেল সেলস এজেন্ট রিদম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহাগ হোসেন।ৃ

বাংলাদেশের আকাশে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স