ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৬:১১:৩৭ পিএম

বাংলাদেশের ঋণের কিস্তি ছাড় পিছিয়ে দিল আইএমএফ

২৩ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৯:৩৩ এএম

বাংলাদেশের ঋণের কিস্তি ছাড় পিছিয়ে দিল আইএমএফ

ছবি: সংগ্রহ

বাংলাদেশের ঋণের কিস্তি ছাড় পিছিয়ে দিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ)। চলমান ঋণ কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশের চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের বিষয়টি আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি সংস্থাটির নির্বাহী পর্ষদের সভায় উঠার কথা ছিলো। তবে সংস্থাটির বোর্ড সভা পিছিয়ে নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

 

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের জন্য ঋণ ছাড়ের বিষয়টি পিছিয়ে যাচ্ছে। তবে আগামী ১২ মার্চ আইএমএফ’র বোর্ড সভায় উঠতে পারে।

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আইএমএফের কার্যক্রম এক মাস বন্ধ ছিলো। মূলত এ কারণেই বোর্ড সভার সময়সূচিতে পরিবর্তন এনেছে সংস্থাটি। এছাড়া ডলার দর বাজারে ছাড়ার বিষয়ে সংস্থাটি থেকে চাপ ছিলো। এক্ষেত্রে আমরা ইতিমধ্যে বাজারের কাছাকাছি চলে আসছি।

 

তবে অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, আইএমএফর চতুর্থ কিস্তি পেতে বেশ কিছু শর্ত রয়েছে। শর্তগুলোর মধ্যে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের শর্ত ও ডলার দর বাজারে ছাড়ার বিষয়ে আপত্তি তুলেছে সংস্থাটি।

 

এনবিআরের একটি সূত্র দাবি করছে, ঋণের চতুর্থ কিস্তি পেতে এনবিআরের দিক থেকে কোনো সমস্যা নেই। কারণ ইতিমধ্যে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর জন্য বেশকিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

 

এর আগে বাংলাদেশ ঋণের তিনটি কিস্তি পেয়েছে। চতুর্থ কিস্তিতে ৬৪ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার পেতে পারে। এদিকে ৪৭০ কোটি ডলারের চলমান এই ঋণ কর্মসূচির আকার আরও ৭৫ কোটি বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছিল বাংলাদেশ। এই অর্থ দিতেও সম্মত হয়েছে আইএমএফ। তবে এ জন্য কর আদায় ও নীতি গ্রহণকারী সংস্থাকে আলাদা করাসহ রাজস্ব আহরণ বাড়ানোর মতো কিছু কঠোর শর্ত দিয়েছে আইএমএফ।

 

জানা যায়, বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থাটি ঋণ ছাড়ের সঙ্গে সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি শর্তের উপর জোর দিয়েছে। এর একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হলো— মার্কিন ডলার বিনিময় হারের সহজীকরণ, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংক বর্তমান বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করছে বলে জানা গেছে। আরেকটি বিতর্কের বড় বিষয় হলো— জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) জন্য রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা।

 

আইএমএফ কর্মকর্তারা এসব লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও এনবিআরের একটি সূত্র জানিয়েছে, রাজস্ব আদায় বাড়ানোর উদ্যোগ ইতোমধ্যে চলছে এবং তাদের পক্ষ থেকে উল্লেখযোগ্য কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই।

বাংলাদেশের ঋণের কিস্তি ছাড় পিছিয়ে দিল আইএমএফ