ঢাকা মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫ - ৯:৫৭:২২ পিএম

ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক

১৩ মার্চ, ২০২৫ | ১১:১৮ এএম

অনলাইন সংস্করণ

বাংলাদেশের ব্যাংকখাতের ঋণমান কমাল মুডিস

১৩ মার্চ, ২০২৫ | ১১:১৮ এএম

বাংলাদেশের ব্যাংকখাতের ঋণমান কমাল মুডিস

ছবি: সংগ্রহ

দুর্বল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও ব্যাংক খাতে ঝুঁকি বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশের ঋণমান কমিয়েছে বিশ্বখ্যাত ক্রেডিট রেটিং সংস্থা মুডিস। বুধবার (১২ মার্চ) প্রকাশিত প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানায়, বাংলাদেশে সম্পদের মানের অবনতি, উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং দুর্বল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ফলে ব্যাংক খাতের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

 

 

মুডিস বাংলাদেশের ঋণমান ‘বি-ওয়ান’ থেকে নামিয়ে ‘বি-টু’ পর্যায়ে এনেছে, যার ফলে দেশের অর্থনৈতিক পূর্বাভাস ‘স্থিতিশীল’ থেকে ‘নেতিবাচক’ হয়েছে। এই রেটিং পরিবর্তনের ফলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমতে পারে এবং দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

 

 

মূল কারণসমূহ অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি। ব্যাংকগুলোর ঝুঁকি বৃদ্ধি।খেলাপি ঋণের পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধি। মূল্যস্ফীতি চরমে পৌঁছানো।

 

 

মুডিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রকৃত জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৪.৫ শতাংশে নেমে আসতে পারে, যা আগের বছরের ৫.৮ শতাংশের তুলনায় ১.৩ শতাংশ কম। এই প্রবৃদ্ধির হার অর্থনীতির জন্য উদ্বেগজনক, কারণ এটি বিনিয়োগ ও ব্যবসা খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

 

 


প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা, পোশাক খাতের সরবরাহ শৃঙ্খলে ব্যাঘাত এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা হ্রাস অর্থনৈতিক মন্দার অন্যতম কারণ। বিশেষ করে, রপ্তানির প্রধান খাত পোশাক শিল্পের সংকট দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে প্রভাব ফেলতে পারে।

 

 


বর্তমানে বাংলাদেশের ব্যাংক খাত কঠিন সময় পার করছে। খেলাপি ঋণের পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যাংকগুলোর স্থিতিশীলতা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সরকারের সহায়তা ছাড়া ব্যাংক খাত আরও বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে পারে বলে মুডিস সতর্ক করেছে।

 

 


মুডিসের রেটিং অবনতি বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সতর্ক সংকেত। দেশের ব্যাংক খাত ও অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে প্রয়োজন যথাযথ নীতিগত পদক্ষেপ ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা। নীতিনির্ধারকদের কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে অর্থনীতির ওপর আরও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

বাংলাদেশের ব্যাংকখাতের ঋণমান কমাল মুডিস