ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ | ২:৪৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
বাংলাদেশের শ্রম অধিকার নিশ্চিতের তাগিদ যুক্তরাষ্ট্রের
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ | ২:৪৯ পিএম
![বাংলাদেশের শ্রম অধিকার নিশ্চিতের তাগিদ যুক্তরাষ্ট্রের](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/11/27/20241127144931_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহ
এ মুহূর্তে শ্রম অধিকার চর্চার দীর্ঘস্থায়ী চ্যালেঞ্জগুলোর সমাধান করা বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও শাসনব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে জাতীয় অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্যও তা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশ সফরকালে এ বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেছে দেশটির শ্রম প্রতিনিধি দল।
বাংলাদেশের অর্থনীতি, গণতন্ত্র এবং শ্রমিকদের সমর্থনে আসা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বাংলাদেশ সফর শেষে গতকাল ঢাকা ছেড়ে গেছেন। ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের এক প্রেস নোটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সফরে আসা মার্কিন প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের বিশেষ প্রতিনিধি কেলি এম. ফে রদ্রিগেজ এবং লেবার ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি থিয়া লি। এ সফরে তাদের সঙ্গে ছিলেন ইউএসএআইডির প্রতিনিধি, আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান ব্র্যান্ডগুলোর ঊর্ধ্বতন নেতৃত্ব এবং আন্তর্জাতিক শ্রম বিশেষজ্ঞ ইউএনআই গ্লোবাল ইউনিয়নের মহাসচিব ক্রিস্টি হফম্যান এবং ওয়ার্কার রাইটস কনসোর্টিয়ামের নির্বাহী পরিচালক স্কট নোভা। সফরে অংশগ্রহণকারী যুক্তরাষ্ট্রের ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে ছিল গ্যাপ ইনকর্পোরেটেড, পিভিএইচ করপোরেশন এবং ভিএফ করপোরেশন, যারা বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত (আরএমজি) থেকে প্রতি বছর আনুমানিক ১.৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য ক্রয় করে।
প্রেস নোটে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও শাসনব্যবস্থার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এ মুহূর্তে শ্রম অধিকার চর্চার দীর্ঘস্থায়ী চ্যালেঞ্জগুলো সমাধান করা জাতীয় অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শ্রমিকদের ক্ষমতায়ন টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, মানবাধিকারের প্রতি সম্মান, গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা এবং জেন্ডার সমতা ও অন্তর্ভুক্তির জন্য অপরিহার্য।
যুক্তরাষ্ট্র বৈশ্বিক অর্থনীতিতে শ্রমিকদের মঙ্গল নিশ্চিত করার ব্যাপারে সরকারের, ক্রেতাদের, নিয়োগদাতাদের, নিয়ন্ত্রকদের এবং শ্রম ইউনিয়নগুলোর যৌথ দায়িত্বের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে। এর মধ্যে রয়েছে সুরক্ষিত ও সম্মানজনক কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা এবং বিশেষভাবে তৈরি পোশাক খাতে সমিতি গঠনের স্বাধীনতা ও যৌথ দরকষাকষির অধিকার শক্তিশালী করার মাধ্যমে শ্রমিক অধিকারের উন্নয়ন।
যুক্তরাষ্ট্র গত ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্বকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে জানিয়ে প্রেস নোটে বলা হয়, আমরা এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে বাংলাদেশের জনগণের পাশে থাকার সুযোগ পেয়ে কৃতজ্ঞ এবং ঢাকায় একত্রিত হয়ে স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক ট্রেড ইউনিয়ন, বাংলাদেশের শ্রমিক এবং তাদের নিয়োগকর্তা প্রতিষ্ঠানের প্রতি আমাদের যৌথ প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করতে পেরে গর্বিত।
গত সোমবার শ্রম সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য মার্কিন প্রতিনিধি দলটি সদস্য তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। এ সময় ড. ইউনূস প্রতিনিধি দলকে বলেন, ‘আমরা আমাদের শ্রম আইনকে বৈশ্বিক মানদণ্ডের সম-মানসম্পন্ন করতে চাই। এটি আমার অঙ্গীকার।’ তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার কেবল দেশের শ্রম আইন সংস্কার করতে এবং এ ব্যাপারে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক শ্রম অধিকার গোষ্ঠী, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা ও পশ্চিমা দেশগুলোর উদ্বেগ নিরসনের জন্য একজন বিশেষ দূত নিয়োগ করেছে।’
![বাংলাদেশের শ্রম অধিকার নিশ্চিতের তাগিদ যুক্তরাষ্ট্রের](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)