ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৭:২১:৫২ এএম

বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচিতে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত বিশ্বব্যাংকের

১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৯:৫৫ এএম

বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচিতে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত বিশ্বব্যাংকের

ছবি: সংগ্রহ

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের চলমান সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার।  রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এই সমর্থন জানান।

 

 

বৈঠকে উভয়ে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশে সুশাসন ও স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার জন্য কর নীতি, সরকারি ক্রয় এবং পরিসংখ্যান সংক্রান্ত সংস্কারের বিষয়ে সহায়তা দিয়ে আসছে। এর মধ্যে ডিজিটালাইজেশন পদ্ধতি চালু এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নের বিষয় উঠে আসে।

 

 

বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার বলেন, "বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশে জরুরি সংস্কারে সহায়তা করছে, যার মধ্যে কর নীতি ও প্রশাসন, সরকারি ক্রয় এবং পরিসংখ্যান সংক্রান্ত সংস্কার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।" তিনি জানান, এই সংস্কারগুলি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ এবং ভবিষ্যৎ অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

 

 

রেইজার আরও বলেন, "এই সংস্কারগুলো জনগণ এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর সুশাসন ও জবাবদিহিতার প্রতি আস্থা তৈরি করতে সহায়তা করবে, যা ভবিষ্যতের প্রবৃদ্ধির ভিত্তি স্থাপন করবে।"

 

 

কর প্রশাসন ও কর নীতির পৃথকীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন রেইজার, যাতে রাজস্ব ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যায়। তিনি বলেন, "কর রেয়াত ও ছাড় দেওয়ার একমাত্র সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কর্তৃপক্ষ হওয়া উচিত সংসদ।"

 

 

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানান, তিনি সম্প্রতি একটি ‘ঐকমত্য কমিশন’ গঠন করেছেন, যা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ আয়োজনে সহায়তা করবে। তিনি বলেন, "রাজনৈতিক দলগুলো একমত হলে, তারা জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে, যা পরবর্তীতে অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকারের বাস্তবায়নে সহায়তা করবে।"

 

 

এছাড়া, রেইজার সরকারি ক্রয় ব্যবস্থার উন্নতি এবং বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর স্বাধীনতা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন, যাতে নীতিনির্ধারণে তথ্যের গুণগত মান উন্নত করা যায়। তিনি জাতীয় পরিচয়পত্রসহ শক্তিশালী ডিজিটালাইজেশন কর্মসূচির গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, "বিশ্বব্যাংক ঢাকা শহরকে এমন দেশগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত করতে সহায়তা করতে পারে, যাদের শক্তিশালী ডিজিটাল পরিচয় অবকাঠামো রয়েছে।"

 

 

এ বৈঠকটি বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্প এবং আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে একটি নতুন মাইলফলক হিসেবে মূল্যায়িত হচ্ছে।

বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচিতে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত বিশ্বব্যাংকের