ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
১১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৮:৫১ এএম
অনলাইন সংস্করণ
বাংলাদেশে ইন্টারনেট খরচ কেন বাড়ছে: সাতবার অর্থ দিতে হয় সরকারকে
১১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৮:৫১ এএম
![বাংলাদেশে ইন্টারনেট খরচ কেন বাড়ছে: সাতবার অর্থ দিতে হয় সরকারকে](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/11/11/20241111085120_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহীত
বাংলাদেশে ইন্টারনেটের খরচ বাড়ছে মূলত সরকার নির্ধারিত ট্যাক্স, ফি এবং রেভিনিউ শেয়ারের কারণে। ইন্টারনেট সংযোগে সাতটি ধাপে ব্যান্ডউইডথ সরবরাহ থেকে শুরু করে গ্রাহকের কাছে পৌঁছানোর প্রতিটি পর্যায়ে খরচ বেড়েই চলেছে। আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইডথ সরবরাহ করে মূলত রাষ্ট্রায়ত্ত্ব বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) এবং বেসরকারি ইন্টারন্যাশনাল টিরেস্ট্রিয়াল কেবল অপারেটররা। এরপর ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) অপারেটরদের মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ পৌঁছানো হয় মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর ও ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের কাছে।
তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত স্তরের কারণে সিস্টেমে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। আইআইজি, এনটিটিএন, এবং টাওয়ার কোম্পানি পর্যায়ে রেভিনিউ শেয়ার, সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল, এবং লাইসেন্স ফি যুক্ত হওয়ায় ইন্টারনেট ব্যয় কমানো যাচ্ছে না। অ্যাম্বার আইটি লিমিটেডের সিইও মো. আমিনুল হাকিম বলেন, রেভিনিউ শেয়ার, এসওএফ, ও ভ্যাট বাদ দিলে ইন্টারনেট সেবার ব্যয় ৩৫-৪০ শতাংশ কমানো সম্ভব।
বিটিআরসি’র তথ্য অনুসারে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৪১৪৯ কোটি টাকা আয় হয়েছে লাইসেন্স ফি, রেভিনিউ শেয়ারিং, এবং স্পেকট্রাম চার্জ থেকে। এদিকে খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টেলিকম খাতে সরকারের রাজস্ব আয়ের ৫ শতাংশ আসে, তবে মোবাইল ইন্টারনেট সেবায় চাপানো অতিরিক্ত শুল্ক ও কর সরাসরি ইন্টারনেট ব্যয় বাড়িয়ে দিচ্ছে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, "সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় ইন্টারনেট পৌঁছানোর জন্য ব্যান্ডউইডথ মূল্য কমানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।"
![বাংলাদেশে ইন্টারনেট খরচ কেন বাড়ছে: সাতবার অর্থ দিতে হয় সরকারকে](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)