ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ১১:৪৬:৩৬ এএম

বাংলাদেশে ভিসা কার্যক্রম নিয়ে কী বলছে ভারত?

১৯ অক্টোবর, ২০২৪ | ৯:৮ এএম

বাংলাদেশে ভিসা কার্যক্রম নিয়ে কী বলছে ভারত?

ছবি: সংগ্রহীত

বাংলাদেশ থেকে ভারতের ভিসা প্রাপ্তি নিয়ে নানা ধরনের অভিযোগ ছিল আগে থেকেই। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ঢাকা-নয়াদিল্লি সম্পর্ক যখন নতুন মোড়ে, তখন থেকে এই ভিসা ইস্যু হয়ে উঠেছে আরও জটিল। কবে থেকে বাংলাদেশে ভারতের ভিসা কার্যক্রম পূর্ণমাত্রায় বা স্বাভাবিক গতিতে চলবে, তা নিয়ে কথা বলেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।



ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা, তার ভারতে অবস্থান, ৮ জাতীয় দিবস বাতিল এবং বাংলাদেশিদের ভারতের ভিসা দেয়া প্রসঙ্গে কথা বলেছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।

 


ব্রিফিংয়ে বিবিসির এক সাংবাদিক রণধীর জয়সওয়ালের কাছে জানতে চান, বাংলাদেশ সরকার ঐতিহাসিক ৭ মার্চসহ আট জাতীয় দিবস বাতিল করেছে। সার্বিকভাবে, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারত সরকার কী ভাবছে? এছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেয়ার বিষয়ে কোনো আপডেট আছে কি না?



এর জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন,

আপাতত বাংলাদেশিদের চিকিৎসার এবং জরুরি প্রয়োজনে ভিসা দেয়া হচ্ছে, কার্যক্রম চলছে। যখন বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, তখন পূর্ণমাত্রায় কাজ শুরু হবে এবং ভিসা প্রদানও স্বাভাবিক হবে।

তবে এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।


এর আগে ভারতীয় বেশ কিছু গণমাধ্যমে বলা হয়, বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ভিসা দেয়া হচ্ছে না দেশটির নাগরিকদের। সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে এসব গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ঢাকার পরিস্থিতি ‘স্বাভাবিক’ না হওয়া পর্যন্ত ভিসা কার্যক্রমও স্বাভাবিক হবে না।

 



গত ২৯ সেপ্টেম্বর এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্ট জানায়, ২০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি ভিসা আবেদনকারীর পাসপোর্ট ফেরত দিয়েছে ভারত। বলা হচ্ছে, “ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে কিছু ‘হুমকিমূলক ই-মেইল’সহ প্রতিবাদ ও কড়া শব্দের ই-মেইল পাঠানোয় পাসপোর্ট ফেরত দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।”

 

বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা পরিষেবা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত থাকায়, পাসপোর্টগুলো ভারতীয় হাইকমিশনের তত্ত্বাবধানে ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।



প্রতিবেদন মতে, আগস্ট মাসে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিক্ষোভের কারণে বাংলাদেশে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রগুলো অনেকাংশে বন্ধ থাকায়, বহু ভিসা আবেদনকারীর পাসপোর্ট ঢাকার হাইকমিশনের কাছে থেকে যায়। পরে ‘উত্তেজিত’ আবেদনকারীরা হাইকমিশনকে বেশ কিছু ই-মেইল পাঠায়, যার মধ্যে ভাঙচুরের হুমকিও ছিল বলে দাবি করা হয়েছে।



ভিসা আবেদন কেন্দ্রগুলোতে কর্মীদের হেনস্থা করারও অভিযোগ ওঠে। অনেকে হাইকমিশনকে ট্যাগ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় হুমকি দিয়েছেন বলেও দাবি সংশ্লিষ্টদের।



একটি সূত্র ভারতীয় গণমাধ্যমকে বলেছে, ৫ আগস্ট থেকে ভিসা প্রদান বন্ধ রয়েছে। কর্মী স্বল্পতার পাশাপাশি বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে ভিসা না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শুধুমাত্র কিছু জরুরি ক্ষেত্রে এবং কিছু ক্ষেত্রে তৃতীয় দেশের ভিসার জন্য আবেদন করতে ভারতে আসতে হয়- এমন লোকদের জন্য ডবল এন্ট্রি ভিসার অনুমতি দেয়া হচ্ছে। বাকি সব পাসপোর্ট ফেরত দেয়া হয়েছে।

 

 

এছাড়া ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার ২৯ সেপ্টেম্বর এক প্রতিবেদনে জানায়, ‘আপৎকালীন এবং চিকিৎসার’ প্রয়োজন ছাড়া আপাতত বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা দেয়া হচ্ছে না।

বাংলাদেশে ভিসা কার্যক্রম নিয়ে কী বলছে ভারত?