ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৬:১৮:৫২ পিএম

বাংলাদেশে সৌদি বিনিয়োগে যত চ্যালেঞ্জ

১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৪:২৭ পিএম

বাংলাদেশে সৌদি বিনিয়োগে যত চ্যালেঞ্জ

ছবি: সংগ্রহ

বাংলাদেশে সৌদি আরবের ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগে আগ্রহী হলেও, এই বিনিয়োগে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। সৌদি-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর করতে এবং বিনিয়োগ বাড়াতে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে।

 

 

বেসরকারি সংস্থা পলিসি এক্সচেঞ্জ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় সম্প্রতি একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ‘সৌদি-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি: প্রবণতা, মূল চ্যালেঞ্জ এবং দীর্ঘমেয়াদি সম্ভাবনা’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি গত ৫ জানুয়ারি প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, সৌদি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, ইলেকট্রনিক পণ্য উৎপাদন, আতিথেয়তা, শিক্ষা ও অন্যান্য খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী। তবে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের কারণে সম্মত হওয়া বেশ কিছু প্রকল্পের অগ্রগতি হয়নি।

 

 

প্রধান চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে রয়েছে সময়মতো জমি বরাদ্দ না পাওয়া, সহায়ক অবকাঠামোর অভাব, জটিল বিনিয়োগ প্রক্রিয়া এবং অনুমোদন ও পরিষেবা পেতে বিলম্ব। এছাড়া, ইতিবাচক বিনিয়োগ নীতি, ব্যবসায়িক বিধিবিধানের অভাব, জটিল বাণিজ্য ও শুল্ক পদ্ধতি, এবং বিনিয়োগবান্ধব কর পরিবেশের অভাবও উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ।

 

 

এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় পলিসি এক্সচেঞ্জ বেশ কিছু সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে— একটি যৌথ কমিটি গঠন করা, জমি বরাদ্দের জন্য একটি ওয়ান-স্টপ সিস্টেম প্রতিষ্ঠা, বিনিয়োগ প্রক্রিয়া সহজতর করা এবং বিলম্ব কমানো। এছাড়া, নির্দিষ্ট প্রকল্পের জন্য কর ছাড় এবং সৌদি বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করার সুপারিশও করা হয়েছে।

 

 

পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ও সিইও এম মাসরুর রিয়াজ বলেন, "বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে চমৎকার বোঝাপড়া রয়েছে এবং আরও অনেক সম্ভাবনা আছে। তবে আমাদের সৌদি বাজারের সুযোগগুলি আরও ভালোভাবে বুঝতে হবে।"

 

 

এদিকে, জানুয়ারির শুরুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক আলোচনা সভায় সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আলদুহাইলান জানিয়েছেন, সৌদি আরব বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী এবং এই ক্ষেত্রে সৌদি কোম্পানিগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।

 

 

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, "আমরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছি যে, বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য সবচেয়ে ভালো পরিবেশ রয়েছে, তবে বাস্তবতায় এই পরিবেশ কিছুটা উন্নতি প্রয়োজন। বর্তমান সরকার এই অবস্থার পরিবর্তন করার চেষ্টা করছে এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য ব্যবসা সহজ করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে।"

 

 

সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার জন্য উদ্যোগগুলো বাস্তবায়িত হলে, ভবিষ্যতে সৌদি বিনিয়োগের প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশে সৌদি বিনিয়োগে যত চ্যালেঞ্জ