ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৬:৫৯:৩৫ পিএম

ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক

২৫ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৩:৪৫ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

বাজারে তেলের সংকট কাটছে না, ক্রেতা-বিক্রেতারা হতাশ

২৫ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৩:৪৫ পিএম

বাজারে তেলের সংকট কাটছে না, ক্রেতা-বিক্রেতারা হতাশ

ছবি: সংগ্রহ

বাজারে ভোজ্যতেলের সংকট যেন কাটছে না, বিশেষ করে সয়াবিন তেলের সংকট গুরুতর আকার ধারণ করেছে। সরকার দাম বাড়ানোর পরও বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক হচ্ছে না। বিশেষভাবে ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছিল না বা তা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে ক্রেতাদের জন্য।

 

 

বাজারের খুচরা বিক্রেতারা জানান, সয়াবিন তেলের স্বাভাবিক সরবরাহ না থাকায় তারা অত্যন্ত হতাশ। বেশিরভাগ দোকানিরাই বলছেন, কোম্পানির প্রতিনিধিদের বারবার অর্ডার দেওয়ার পরও প্রয়োজনীয় পরিমাণ তেল তারা পাচ্ছেন না। একদিকে পাইকারি পর্যায়ে তেলের দাম কিছুটা কমলেও, মিল থেকে সরবরাহ এখনও স্বাভাবিক হয়নি বলে দাবি করা হচ্ছে।

 

 

বর্তমানে বাজারে ১ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৭৫ টাকা, এবং ৫ লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৮৫০-৮৫৫ টাকায়। প্রায় দুই মাস আগে সরকারের দাম বৃদ্ধির পরেও সংকট কাটেনি। কিছু দোকানির দাবি, তারা খোলা সয়াবিন তেল ১৮০-১৮৫ টাকায় বিক্রি করছেন। মধুবাগ বাজারের দোকানি তানভির জানান, গত দুই-তিন মাস ধরে তারা সয়াবিন তেল সরবরাহ পাচ্ছেন না, এবং বড় ব্যবসায়ীরা রমজান মাসে তেলের দাম আরও বাড়ানোর চিন্তা করছে।

 

 

অন্যদিকে, কারওয়ান বাজারের পাইকারি বিক্রেতা জাহাঙ্গীর দাবি করেছেন যে, সয়াবিন তেলের সংকট নেই এবং দাম বৃদ্ধির পর বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। তিনি জানান, গত সপ্তাহে ব্যারেলপ্রতি তেলের দাম এক হাজার টাকার বেশি কমেছে। তবে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট দেখা যাচ্ছে।

 

 

ক্রেতারা হতাশ। শাহেদ নামে এক ক্রেতা বলেন, তিনি ২ লিটার সয়াবিন তেল কিনেছেন, তবে দাম বেশি ছিল, যেহেতু এমআরপি ৩৫০ টাকায় লেখা ছিল, কিন্তু তিনি ৩৫০ টাকার চেয়ে বেশি দাম দিয়েই তেল কিনেছেন।

 

 

এছাড়া, সয়াবিন তেলের দামের ব্যাপারে গত ৯ ডিসেম্বর সরকারের একটি ঘোষণা আসে, যেখানে প্রতি লিটারে ৮ টাকা বাড়ানোর পর এখন তা ১৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, খোলা সয়াবিন তেলও ১৫৭-১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

 

ভোজ্যতেলের বাজারে সমস্যা সমাধানের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পবিত্র রমজান মাসে তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সয়াবিন এবং পাম তেলের ওপর শুল্ক-করাবলী অব্যাহতি দিয়েছে। তবে সত্ত্বেও বাজারে সরবরাহ এখনও স্বাভাবিক হয়নি, যা ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য বড় এক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

 

 

এভাবে চলতে থাকলে, ভোজ্যতেলের বাজারের অস্থিরতা আরও দীর্ঘায়িত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বাজারে তেলের সংকট কাটছে না, ক্রেতা-বিক্রেতারা হতাশ