ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ১:১০:৫৯ পিএম

বাজেট জল্পনা ও আস্থার জায়গা: মোঃ আলীমুজ্জামান

২৪ মে, ২০২৪ | ৪:৪৬ পিএম

বাজেট জল্পনা ও আস্থার জায়গা: মোঃ আলীমুজ্জামান

প্রতি বছর বাজেট ঘোষণার আগে বাবসায়ীদের সাথে এনবিআর এর আলোচনা ও বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারিত সংবাদে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে অর্থনীতির একটা ইমপ্যাক্ট তুলে ধরা হয়। এবারের প্রেক্ষাপট আরো ভিন্ন কারন হিসাবে বিশ্বের বর্তমান অবস্থা সবার জানা।

 

মাঝে মধ্যে আমরা নিউজে দেখে থাকি যে, আমেরিকার সিনেটে আজকের লোন পাশ না হলে দেওলিয়া হয়ে যাবে। পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ঋণ গ্রহণ করা দেশ হল আমেরিকা, যা বিশ্বের সকল দেশের গ্রহণ করা সর্বমোট ঋণের ৩৪ শতাংশ। আসলে যে দেশের অর্থনীতি যত বড় তার তত বেশি ঋণ। ঋণ পরিশোধ করার ক্ষমতা যাচাই করা ছাড়া কোন বিশ্ব সংস্থা ঋণ দেন না। বাংলাদেশ এর ব্যতিক্রম না।

 


দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মকাণ্ডে গ্রহণ করা ঋণ এ যাবৎ কালের অধিক বলে প্রচার করা এবং সেটা সঠিক। তবে এর সাথে বলা হয় না পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল, কর্ণফুলী টানেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প সহ বাস্তবায়ন ও সুবিধা পাওয়া উন্নয়ন সমূহের কথা।

 

বাস্তবায়িত প্রতিটি মেগা প্রকল্প তাদের আয় থেকে দায় শোধ করে যাচ্ছে, সেটা করা গেলে ঋণের কিস্তি পরিশোধের সমস্যা হবে বলে মনে হয় না।

 

রিজার্ভ সংকট সমাধানের জন্য আইএমএফ থেকে ঋণ নেওয়া ও বাজেটের আগে রাজস্ব আদায় অব্যাহতির উপর বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন। আমাদের মতো দেশের জন্য এটা স্বাভাবিক বিষয়, কর জিডিপি এর হার এই উপমহাদেশে সবচেয়ে কম। পাকিস্তান এত খারাপ অবস্থায় থাকার পরও কর জিডিপি আমাদের থেকে বেশি।

 


বাজেটের আগে ডলারের মূল্য ও ব্যাংক ঋণের সুদ বাড়ানোর ফলে দ্রব্য মূল্য বাড়বে সেটা মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি করতে পারে। যাহোক ঋণ নেওয়া দেশ সমূহের মধ্যে বাংলাদেশ ৩৪ তম অবস্থানে। আইএমএফ এর ঋণ দেওয়ার অনেক শর্ত দিতে পারেন, সেটা মানা, না মানা সরকারের বিষয়।

 

আস্থার জায়গা হল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, তিনি দেশ ও জনগণের স্বার্থ বিরোধী কোন কাজ করবেন বলে মনে হয় না। যে বিষয় গুলো দেশের উন্নয়নের সার্থে দরকার মনে করবেন সে গুলোর উপর কর অভ্যহতি ও ভ্যাট ট্যাক্স বসানো থেকে বিরত থাকবেন।

 

কেউ না বুঝলে তিনি বুঝেন যে ঋণ নিয়েছি শোধ করে দিবো। আর একটা বিষয়ে তিনি পরিষ্কার ধারণা রাখেন যে ঋণ পরিশোধ করার ক্ষমতা না দেখে কোন আন্তর্জাতিক সংস্থা ঋণ দেন না।শুধু বিশ্বের পরিস্থিতি ও সরকার বিরোধীদের অপৎপরতার কারণে মুদ্রাস্ফীতি, বিশেষ করে খাদ্যে কন্ট্রোল করতে সমস্যার মধ্যে পরতে হচ্ছে।

 


বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, ঋণ পরিশোধের দায় ও ভ্যাট ট্যাক্স অভ্যহতির বিষয় নিয়ে তিনি পরিকল্পনা করছেন কিন্তু হতাশা বাদীদের প্রচারের বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখছেন। করোনা কালীন সময়ে তিনিই সাহস দেখিয়েছেন ফ্রি সকল জনগণকে টিকার ব্যবস্থা করা। যারা বলেছিল মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে না।

 

তারাই মেট্রো রেলে ত্রিশ মিনিটে মতিঝিল থেকে উত্তরা অফিস করছেন। মূল্য বেড়েছে মেট্রো রেলের পাশে থাকা জমি ফ্ল্যাট ও বাসা ভাড়ার পরিমাণ, সেগুলো নিয়ে কেউ শুকরিয়া করেন না।

 

তিনি বহু কঠিন অবস্থা পার করে আজকের অবস্থানে এসেছেন তাই সকল অবস্থায় থাকা জনগণের অবস্থান তিনি খুব ভালো মতো বোঝেন। ভীতিকর পরিবেশ তৈরির মূল উদ্দেশ্য হল, ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা। বৈশ্বিক কারণে অন্য দেশের নায় বাংলাদেশের অর্থনীতিও কঠিন সময় পার করছে, সেটা বিবেচনায় রেখে ব্যক্তিগত সকল পরিকল্পনা নিজেকেই করতে হবে।

 


আইএমএফ এর ঋণ নিয়ে যে শর্ত সুমুহ নিয়ে প্রকাশিত লেখা গুলো হল শর্ত প্রতিপালন করলে অর্থনীতির ইমপ্যাক্ট গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করা। আমরা অর্থনীতি বিদ নই তবে সাদা চোখে দেখা, সাধারণ মানুষ হিসাবে বাস্তব চিত্র তুলে ধরতে চেষ্টা করি।

 

যেমন ভ্যাট টাক্স আইনের বিষয়গুলোর জটিল জায়গা যা চাইলে সহজ করা যায় ও নাজ্জতার সাথে অধিক রাজস্ব আদায় বাড়ানোর কথা বলি তেমন ভাবে অর্থনীতির কথা বলি। সেটা করো পক্ষে বা বিপক্ষে নয়।

 

অটো রিক্স বন্ধ করার সময় ঘোষণাকারীর মাথায় ছিল সেটার খারাপ ও জটিলতা কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক এটা চালু করার ঘোষণা হল বন্ধ করা দুই সমস্যার ঊর্ধ্বের বিষয়, সেটা হল মানবিকতা বা কয়েক লক্ষ পরিবারের বেঁচে থাকার ধারণা। যা সাধারণ কেউ চিন্তার মধ্যে আনেন না, তাই দেশের সকল কিছুর আস্থার জায়গা একটাই।

বাজেট জল্পনা ও আস্থার জায়গা: মোঃ আলীমুজ্জামান