ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
৮ মার্চ, ২০২৫ | ৩:৪৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
বিএসইসির পরিস্থিতি দ্রুত সমাধানে সরকারের হস্তক্ষেপ চায় ডিবিএ
৮ মার্চ, ২০২৫ | ৩:৪৬ পিএম

ছবি: সংগ্রহ
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)-এর অভ্যন্তরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে সৃষ্ট অস্থিরতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারের স্টক ব্রোকারদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)। সংগঠনটি বাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে দ্রুত এই সংকট সমাধানের আহ্বান জানিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) ডিবিএ’র পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সংগঠনের প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম বলেন, দেশের পুঁজিবাজার দীর্ঘদিন ধরে নানা সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। বিনিয়োগকারীরা পুঁজি হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। এই পরিস্থিতিতে বিএসইসির অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা বাজারের জন্য আরও অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, কমিশনের চলমান অস্থিরতা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার সংকট আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাজার থেকে সরে যেতে পারেন। বাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ বজায় রাখতে দ্রুত এই সংকট সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
এর আগে, ৫ মার্চ বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগের দাবিতে সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিক্ষোভ করেন এবং কমিশনের বোর্ড রুমে চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের চার ঘণ্টার বেশি সময় অবরুদ্ধ করে রাখেন। কর্মীরা বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর প্রতিবাদে এই আন্দোলন করেন।
এ প্রসঙ্গে বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ জানান, কমিশন বিগত সময়ের পুঁজিবাজারের অনিয়ম ও দুর্নীতি অনুসন্ধানে ১২টি তালিকাভুক্ত কোম্পানির বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এ পর্যন্ত ৭টি তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়েছে, যার ভিত্তিতে অভিযোগ গঠনের প্রক্রিয়া চলছে।
চেয়ারম্যানের দাবি, এই কঠোর অবস্থানের কারণে কিছু অসন্তুষ্ট কর্মকর্তা কমিশনের বোর্ড রুমে ঢুকে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী বিএসইসি কার্যালয়ে অবস্থান নেয়।
ডিবিএ মনে করে, বিএসইসির অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা দ্রুত সমাধান করা না হলে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং আস্থার সংকট আরও বাড়বে। এজন্য সংগঠনটি সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দ্রুত হস্তক্ষেপ দাবি করেছে, যাতে বাজার স্বাভাবিক ধারায় ফিরে আসতে পারে এবং বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষিত থাকে।
