ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৫:০৪:৩০ পিএম

বিকল্প দেশ থেকে আলু-পেঁয়াজ কেনার কথা ভাবছে বাংলাদেশ, চিন্তায় ভারত

১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৫:৯ পিএম

বিকল্প দেশ থেকে আলু-পেঁয়াজ কেনার কথা ভাবছে বাংলাদেশ, চিন্তায় ভারত

ছবি: সংগ্রহ

বাংলাদেশ ভারতের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে চিনি, আলু, এবং পেঁয়াজের মতো গুরুত্বপূর্ণ পণ্য আমদানিতে বিকল্প উৎস অনুসন্ধান করছে। সম্প্রতি পাকিস্তান থেকে ২৫ হাজার টন চিনি আমদানির পর এই সিদ্ধান্তের ফলে ভারতের উদ্বেগ বাড়ছে।

 

বাংলাদেশ সম্প্রতি পাকিস্তান থেকে ২৫ হাজার টন চিনি আমদানি করেছে, যা দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। ভারতের বাজারে উচ্চমূল্য এবং রপ্তানির উপর বিভিন্ন বিধিনিষেধের কারণে বাংলাদেশ বিকল্প দেশ থেকে চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করছে।

 

বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আলু এবং পেঁয়াজের জন্য চীন, তুরস্ক, পাকিস্তান, মিসর, জার্মানি এবং স্পেনসহ বিভিন্ন দেশকে সম্ভাব্য বিকল্প সরবরাহকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

 

ভারত দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের আলু ও পেঁয়াজের প্রধান সরবরাহকারী। তবে সম্প্রতি ভারতীয় বাজারে পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়া এবং ভারত কর্তৃক রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার কারণে বাংলাদেশ বিকল্প উৎস খুঁজতে বাধ্য হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারত থেকে বাংলাদেশে ৭.২৪ লাখ টন পেঁয়াজ রপ্তানি হয়েছে, যার মূল্য ১৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

 

তবে ভারতীয় রপ্তানিতে নির্ভরতা কমাতে বাংলাদেশের পদক্ষেপ নয়াদিল্লিকে উদ্বেগে ফেলেছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক কিছুটা হ্রাস পেয়েছে।

 

বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি) আলু ও পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রাখতে বিকল্প দেশ থেকে আমদানির পরিকল্পনা করছে। সচিব সেলিম উদ্দিন বলেছেন, “আমরা বিকল্প উৎস চিহ্নিত করেছি এবং আমদানিকারকদের তা বিবেচনা করতে বলেছি। এতে বাজার স্থিতিশীল হবে।”

 

বাংলাদেশের পরিকল্পনা অনুযায়ী, আলু জার্মানি, মিসর, চীন এবং স্পেন থেকে আমদানির সম্ভাবনা রয়েছে। পেঁয়াজ চীন, পাকিস্তান, তুরস্ক এবং মিয়ানমার সম্ভাব্য সরবরাহকারী।



বাংলাদেশের এই উদ্যোগের ফলে দুই প্রতিবেশী দেশের বাণিজ্য সম্পর্কের উপর প্রভাব পড়তে পারে। বিকল্প উৎসের অনুসন্ধান ভারতীয় বাজারে রপ্তানির পরিমাণ কমিয়ে দেবে এবং বাংলাদেশের বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়াবে। তবে এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের পণ্যমূল্য স্থিতিশীল করতে এবং ভোক্তাদের জন্য সাশ্রয়ী পণ্য নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।


ভারতীয় বাজারের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে বাংলাদেশের বিকল্প উৎস অনুসন্ধান নীতিগতভাবে বাণিজ্যের বহুমুখীকরণের একটি অংশ। এটি শুধু বাংলাদেশের বাজার স্থিতিশীল করবে না, বরং আঞ্চলিক বাণিজ্যিক সম্পর্কেও নতুন মাত্রা যোগ করবে।

বিকল্প দেশ থেকে আলু-পেঁয়াজ কেনার কথা ভাবছে বাংলাদেশ, চিন্তায় ভারত