ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ২:২১:২৮ এএম

বিদেশী সহায়তা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

২৫ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৯:০ পিএম

বিদেশী সহায়তা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

ছবি: সংগ্রহ

ফাঁস হওয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোনো নতুন তহবিল নতুন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ বা বিদ্যমান প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য বরাদ্দ করা যাবে না যতক্ষণ না প্রতিটি প্রস্তাবিত প্রকল্প বা মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি পর্যালোচনা এবং অনুমোদন করা হয়।

 

বিদ্যমান সব বিদেশী সহায়তা বন্ধ এবং নতুন সাহায্য স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ও যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশী দূতাবাসে পাঠানো একটি অভ্যন্তরীণ নির্দেশিকায় এই তথ্য উঠে এসেছে। খবর বিবিসি।


ফাঁস হওয়া এই নথি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সোমবার (২০ জানুয়ারি) জারি করা একটি নির্বাহী আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে পাঠানো হয়েছিল। নির্বাহী আদেশটিতে ট্রাম্প ৯০ দিনের জন্য বিদেশী উন্নয়ন সহায়তা বন্ধ রেখে দক্ষতা ও তার পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যতা পর্যালোচনার কথা বলেছেন।


যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক সাহায্য প্রদানকারী দেশ। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালে দেশটি আন্তর্জাতিক সহায়তা হিসেবে প্রায় ৬৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। পররাষ্ট্র দফতরের নির্দেশিকায় উন্নয়ন সহায়তা থেকে শুরু করে সামরিক সহায়তা পর্যন্ত সব কিছুই অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে, জরুরি খাদ্য সহায়তা এবং ইসরায়েল ও মিশরের জন্য সামরিক অর্থায়ন ব্যতীত সব ধরনের সহায়তা স্থগিত করার কথা সেখানে বলা হয়েছে।

 

ফাঁস হওয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোনো নতুন তহবিল নতুন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ বা বিদ্যমান প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য বরাদ্দ করা যাবে না যতক্ষণ না প্রতিটি প্রস্তাবিত প্রকল্প বা মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি পর্যালোচনা এবং অনুমোদন করা হয়।

 

যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও আগে উল্লেখ করেছেন যে, বিদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সমস্ত ব্যয় কেবল তখনই হওয়া উচিত যখন তা আমেরিকাকে ‘আরো শক্তিশালী’, ‘আরো নিরাপদ’ বা ‘আরো সমৃদ্ধ’ করে।

 

পররাষ্ট্র দফতরের প্রাক্তন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জশ পল বিবিসিকে বলেছেন, এই নির্দেশিকাটি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে পরিচালিত বিদেশী সহায়তা কর্মসূচিগুলোর ওপর বিশাল প্রভাব ফেলতে পারে।

 

যুক্তরাষ্ট্রের উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি) এর প্রাক্তন মিশন পরিচালক ডেভ হার্ডেন বলেছেন, এই পদক্ষেপটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি বিশ্বজুড়ে মার্কিন অর্থায়নে পরিচালিত মানবিক ও উন্নয়ন কর্মসূচিগুলোকে পর্যালোচনা চলাকালে অবিলম্বে স্থগিত করতে পারে। তিনি বলেন, এতে পানি, পয়ঃনিষ্কাশন এবং আশ্রয়সহ গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্পগুলো প্রভাবিত হতে পারে।

 

নির্দেশিকাটি এমন সময় এসেছে যখন ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির পর গাজা উপত্যকায় মানবিক সাহায্যের ঢল নেমেছে এবং সুদানের মতো বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ক্ষুধার সংকটও বিদ্যমান।

বিদেশী সহায়তা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র