ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৩:৪২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
বিদেশে পাচার হওয়া ২৮ লাখ কোটি টাকা ফেরাতে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স সক্রিয়
৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৩:৪২ পিএম
ছবি: সংগ্রহীত
গত ১৫ বছরে বিদেশে পাচার হওয়া বিপুল অর্থ ফেরাতে বাংলাদেশ সরকার উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠন করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের নেতৃত্বে গঠিত এই টাস্কফোর্সে ১১টি সরকারি সংস্থার প্রতিনিধি কাজ করছেন, যারা আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতায় পাচারকৃত অর্থ শনাক্ত ও ফেরত আনার উদ্যোগ নিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে এক ডজন বড় শিল্প গ্রুপ ও একজন সাবেক মন্ত্রীর বিপুল অর্থ পাচারের তথ্য সংগ্রহ করেছে টাস্কফোর্স।
সরকারি সূত্র জানায়, ১৫ বছরে সব মিলিয়ে বিদেশে প্রায় ২৮ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের মতে, শুধু ব্যাংক খাত থেকেই পাচার হয়েছে ২ লাখ কোটি টাকা। দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা টিআইবি’র মতে, প্রতিবছর ১২ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলার পাচার করা হয়েছে। পাচার করা অর্থ ফেরাতে টাস্কফোর্স বিদেশি সংস্থাগুলোর সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদান ও আইনি চুক্তি সম্পাদন করছে।
টাস্কফোর্স ইতোমধ্যে এস আলম গ্রুপ, নাবিল গ্রুপ, বেক্সিমকো গ্রুপ, নাসা গ্রুপসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। বিএফআইইউ পাচারকৃত অর্থের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ সংগ্রহ করে প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে। শেয়ারবাজার ও ব্যাংকিং লেনদেনের তথ্যও সংগ্রহ করা হয়েছে। সিঙ্গাপুরে এস আলম পরিবারের সম্পদ এবং বিনিয়োগের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পাচার হওয়া অর্থের মামলা প্রস্তুতির কাজ শুরু করেছে। ২০০৭ সালে সিঙ্গাপুর থেকে পাচার হওয়া ৯৩০ কোটি ডলার ফেরত আনার দৃষ্টান্তের উল্লেখ করে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দুই বছরের মধ্যে কিছু অর্থ ফেরত আসা সম্ভব হলে তা বড় অর্জন হবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, পাচার বন্ধ ও অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগে আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যর্থতা স্পষ্ট। তবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাচার বন্ধ ও অর্থ ফেরাতে দৃঢ় পদক্ষেপ নিচ্ছে। এটি দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হতে পারে।