ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৫:২৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
বিদ্যুতের বকেয়া বিল পরিশোধে মার্চ থেকে ডলার ছাড় করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৫:২৯ পিএম
![বিদ্যুতের বকেয়া বিল পরিশোধে মার্চ থেকে ডলার ছাড় করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2025/02/04/20250204165027_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহ
আগামী রমজান, গ্রীষ্ম ও সেচ মৌসুম সামনে রেখে বিদ্যুৎ খাতে বিদ্যুতের স্বাভাবিক সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ডলার ছাড় করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মার্চ মাস থেকে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর (আইপিপি) পাশাপাশি ভারত থেকে আমদানি করা বিদ্যুতের বকেয়া বিল পরিশোধ করা হবে।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়, যেখানে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
এদিকে, সভায় বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে চলতি বকেয়া বিলের পরিমাণ ও তার পরিশোধের কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনসহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ নির্বাহীরা।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা যায়, বিদ্যুৎ খাতে বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানিগুলোর পাওনা প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে তরল জ্বালানিভিত্তিক কেন্দ্রগুলোর পাওনা প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি। এই বকেয়া পরিশোধ না করলে তেল আমদানির ঋণপত্র (এলসি) খোলা সম্ভব হবে না বলে আগেই সতর্ক করে দিয়েছে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ডলার ছাড়ে সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে, বিদ্যুৎ খাতের বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে এবং গ্রীষ্ম ও সেচ মৌসুমের বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে।
এছাড়া, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো যথাযথভাবে চালু রাখতে পায়রা বন্দরসংলগ্ন বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড এবং আরপিসিএল-নরিনকো ইন্টারন্যাশনাল পাওয়ার লিমিটেড (আরএনপিএল) চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎ খাতে বকেয়া বিল পরিশোধ না হলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে, যা দেশের বিদ্যুৎ সরবরাহে বিরূপ প্রভাব ফেলবে। গেলো গ্রীষ্ম মৌসুমে বিদ্যুৎ সংকটের কারণে লোডশেডিং বেড়ে গিয়েছিল, যা সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।
এদিকে, ভারতের আদানি গ্রুপ এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এনপিটিসি বিদ্যুৎ ভেপার নিগাম লিমিটেড (এনভিভিএন) ত্রিপুরা থেকে বিদ্যুৎ আমদানি অব্যাহত রাখতে বকেয়া পরিশোধের বিষয়ে আলোচনা করেছে সরকার।
এই পদক্ষেপের মাধ্যমে, সরকারের পরিকল্পনা হচ্ছে বিদ্যুৎ খাতে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা এবং সামনের গ্রীষ্ম ও সেচ মৌসুমে বিদ্যুতের চাহিদা পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া।
![বিদ্যুতের বকেয়া বিল পরিশোধে মার্চ থেকে ডলার ছাড় করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)