ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ১০:১৮:১৫ পিএম

বিশ্বের বায়ু ও সৌর প্রকল্পের দুই-তৃতীয়াংশ করছে চীন

১৫ জুলাই, ২০২৪ | ২:৩৯ পিএম

বিশ্বের বায়ু ও সৌর প্রকল্পের দুই-তৃতীয়াংশ করছে চীন

বিশ্বব্যাপী বাস্তবায়নাধীন বায়ু ও সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পে শীর্ষে রয়েছে চীন। বিশ্বের বাকি দেশগুলোর তুলনায় নবায়নযোগ্য বিদ্যুতে এশিয়ার এ শীর্ষ অর্থনীতির প্রকল্পের পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ। সম্প্রতি গ্লোবাল এনার্জি মনিটর (জিইএম) প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য দেয়া হয়েছে।

 

জিইএম জানায়, চীনে মোট ৩৩৯ গিগাওয়াটের বায়ু ও সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ চলছে, যা যুক্তরাষ্ট্রে নির্মাণাধীন ৪০ গিগাওয়াটের প্রকল্পের তুলনায় অনেক বেশি।

 

মাত্র ২০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন করে চীনে এমন স্থাপনাও দেখেছেন গবেষকরা। এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র সরাসরি জাতীয় সঞ্চালন লাইনের সঙ্গে যুক্ত। সে হিসেবে চীনে ব্যবহৃত মোট সৌরবিদ্যুতের পরিমাণ অনেক বেশি হতে পারে। কারণ ছোট আকারের কেন্দ্র থেকেই মোট সৌরবিদ্যুতের ৪০ শতাংশ পায় দেশটি।

 

বিশ্বব্যাপী নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনে চীনের শীর্ষস্থানীয় অবস্থানের খবরটি গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়ে প্রকাশ হলো। বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বর্জ্য নিষ্কাশন, বিশেষ করে সৌরবিদ্যুৎ খাতে চীনের অতিরিক্ত সক্ষমতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বেশ উদ্বিগ্ন।

 

জিইএম বিশ্লেষকরা বলেছেন, ২০২৩ সালের মার্চ থেকে চলতি বছরের একই সময় পর্যন্ত চীন যে পরিমাণ সৌর প্যানেল স্থাপন করেছে তা আগের তিন বছরের সম্মিলিত সৌর প্যানেল স্থাপনের সমান এবং বাকি বিশ্বের চেয়ে বেশি। সব মিলিয়ে চলতি বছরের শেষ নাগাদ ১২০০ গিগাওয়াট বায়ু ও সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের পথে রয়েছে চীন। এর আগে সরকারের নেয়া লক্ষ্যমাত্রা থেকে দেশটি এগিয়ে আছে ছয় বছর।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ উৎপাদনে চীনের ধারাবাহিক প্রচেষ্টা এটিই নিশ্চিত করে যে অদূরভবিষ্যতে বায়ু ও সৌর প্যানেল স্থাপনে বাকি বিশ্বের তুলনায় অনেক এগিয়ে থাকবে দেশটি। তবে বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন যে চীন যদি তাদের অর্থনীতি থেকে কার্বনের তীব্রতা ১৮ শতাংশ কমানোর লক্ষ্য পূরণ করতে চায় তবে তাদের আরো বেশি নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ প্রয়োজন হবে।

 

ওয়াশিংটন ডিসিতে এশিয়া পলিসি ইনস্টিটিউটের চায়না ক্লাইমেট হাবের ডিরেক্টর লি শুও বলেন, ‘চীনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আরো নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ স্থাপনা তৈরি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এটি এত সহজ নয় যে আপনি নির্মাণ চালিয়ে যাবেন এবং সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। কারণ কয়লা ব্যবহার থেকে দূরে সরে যাওয়ার ব্যাপারে চীনের প্রচেষ্টার কোনো লক্ষণ নেই।’

বিশ্বের বায়ু ও সৌর প্রকল্পের দুই-তৃতীয়াংশ করছে চীন