ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৯:৫৫:২৪ পিএম

বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে আমদানি-রফতানি ও যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক

৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৪:৪২ পিএম

বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে আমদানি-রফতানি ও যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক

ছবি: সংগ্রহীত

বাংলাদেশ-ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ও যাত্রী পারাপারের কেন্দ্র বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকে আমদানি-রফতানি ও যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে। সোমবার (২ ডিসেম্বর) ভারতের পেট্রাপোল সীমান্তে ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবিতে সনাতনী ঐক্য মঞ্চের উদ্যোগে বিক্ষোভ ও জমায়েত হয়। তবে ওই কর্মসূচি সীমান্ত কার্যক্রমে কোনো প্রভাব ফেলেনি।

 

 

বেনাপোল শুল্ক ভবনের চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল গনি জানিয়েছেন, বন্দরের কার্যক্রমে কোনো বিঘ্ন হয়নি এবং উভয়পাশে বাণিজ্য স্বাভাবিকভাবে চলমান রয়েছে।

 

 

সীমান্তের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারত থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রী শাহ জালাল বলেন, কিছু বাংলাদেশি যাত্রী সীমান্ত বন্ধের গুজবের কারণে আতঙ্কে দেশে ফিরে আসছেন। তবে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কায় সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

 

 

ভারতীয় ট্রাকচালক পলাশ কুমার বলেছেন, পণ্য পরিবহনেও কোনো বাধা নেই। তবে সীমান্তে নিরাপত্তা কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। একইভাবে বাংলাদেশি ট্রাকচালক মিঠুন হোসেন জানিয়েছেন, পেট্রাপোল বন্দরে পণ্য খালাসের পর ফেরার পথে কোনো সমস্যার মুখোমুখি হননি।

 

 

বেনাপোল বন্দরের সহকারী পরিচালক কাজী রতন জানিয়েছেন, সোমবার ভারত থেকে ২৪৩ ট্রাক বিভিন্ন পণ্য আমদানি হয়েছে, আর বাংলাদেশ থেকে ভারতে ২০১ ট্রাক পণ্য রফতানি হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ১১৯ ট্রাক পণ্য বেনাপোলে প্রবেশ করেছে এবং ৪৮ ট্রাক পণ্য রফতানি হয়েছে।

 

 

বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ওসি ইমতিয়াজ মো. আহসানুল কাদের ভূঞা বলেছেন, দুই দেশের যাত্রী পারাপারও স্বাভাবিক রয়েছে। ভারতে যাওয়ার চেয়ে আসার যাত্রীর সংখ্যা বেশি। যাত্রীদের কাছ থেকে জানা গেছে, ভারতে তাদের যাত্রায় কোনো সমস্যা হয়নি।

সীমান্তের এ স্বাভাবিক কার্যক্রম দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক মজবুত রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।

বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে আমদানি-রফতানি ও যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক